যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে এলএলবি বিষয়ে অনার্স করছেন বাংলাদেশের সামিন ইয়াসার শাফিন। এ দেশের যেসব শিক্ষার্থী ওখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য সেখানকার পড়াশোনা ও স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
দেশে থাকাকালে ২০১৮ সালে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে (সাউথ) ভর্তি হই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে। এটা মূলত ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একটি এফিলিয়েটেড সেন্টার। যুক্তরাজ্যে ব্যারিস্টারি পড়ার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। তবে তার জন্য দরকার হয় ব্রিটিশ ল-এর ওপর অনার্স করা।
তো, এটি মূলত তিন বছরের কোর্স। বাংলাদেশ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাই। সেখানে গিয়ে ভর্তি হই ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে। সেখান থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এলএলবি শেষ করি। যুক্তরাজ্য মূলত ল, মেডিকেল, অ্যাকাউন্টিং এই তিন বিষয়ের জন্য খুব জনপ্রিয় এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি এই সেক্টরে; সেক্টরগুলো ভালো এবং পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্য গভর্নমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের স্কলারশিপ খুব একটা দেয় না।
সুতরাং যারা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য যেতে চায় বা যাচ্ছে, তাদের এ জিনিসটা মনে রাখতে হবে। কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করার পর সে যদি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে চায়, সে ক্ষেত্রে সে কিছু স্কলারশিপ পেতে পারে। আইইএলটিএস এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী যোগ্যতা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব কিছু ইংলিশ টেস্ট থাকে, ভর্তির সময় তারা তাদের এ পদ্ধতিও অনুসরণ করে থাকে। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্টটাইম জব করার সুযোগ পাওয়া যায়। সুতরাং কেউ যদি পড়াশোনার পাশাপাশি জব করে, তার হাতখরচ চলে আসে। আর চাকরি এখানে সহজলভ্য।
যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি বিপত্তি বাধে তা হলো, থাকার খরচ নিয়ে। এর সমাধান করা গেলে বাকি সবকিছু ঠিকই আছে। এখন আসি টিউশন ফি নিয়ে। এখানে এলএলবি করতে প্রতিবছর বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১২-১৪ লাখ টাকা খরচ হয়। আর ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে খরচ তুলনামূলক একটু বেশিই, বছরে প্রায় ১৭-১৮ লাখ টাকা। এখানকার জীবনযাত্রার মান খুবই ভালো, যা একজন মানুষকে প্রোডাকটিভ করে তোলে।
অনুলিখন: এম. জাহিদুল ইসলাম