অনলাইন ডেস্ক:: একটু বয়স বাড়লেই শুরু হয় হাঁটু ব্যথা। ক্যালসিয়ামের অভাবে অল্প বয়সীদেরও এখন হাঁটু ব্যথা হয়। দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা, সিঁড়িতে ওঠা-নামা, কম্পিউটারে একাধারে বসে কাজ করা এসব থেকে তরুণ-তরুণীদের হাঁটুব্যথা হতে পারে। হাঁটু ব্যথা করলেই অনেকে ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন।
ব্যথার ওষুধ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ওষুধ না খেয়ে বরং প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন করে নিন, যা অনেকটাই কষ্ট কমিয়ে দেবে। নিয়মিত হাঁটু ব্যথা হলে কী করবেন, তা জানাব এই আয়োজনে।
১. হাঁটুর ব্যথার ধরন বুঝুন। এটা কি কোথাও ব্যথা পাওয়ার কারণে হচ্ছে নাকি আর্থরাইটিস। বেকায়দায় লেগে গিয়ে হাঁটু ব্যথা হলে বিশ্রাম জরুরি। কয়েকটি দিন টানা বিশ্রাম নিন। কম নড়াচড়া করুন। ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
২. হাঁটু ব্যথায় বিশ্রামের সময় পা একটু উঁচু স্থানে রাখুন। দ্রুত ব্যথা কমবে।
৩. কোথাও পড়ে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেলে বরফের লাগিয়ে রাখুন। একটি আইস ব্যাগে বরফ নিয়ে অনেকটা দিন।
এরপর হাঁটুটি শক্ত করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। নড়াচড়া করবেন না।
৪. ওজন বেড়ে গেলেও হাঁটু ব্যথা হতে পারে। শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর ওপর তত চাপ পড়বে। ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। ব্যথাও কমে যাবে।
৫. ব্যথা কমার জন্য় কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এতে ব্যথার অংশটি নমনীয় থাকবে। হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম করতে পারেন। তবে এর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. যখনই হাঁটু ব্যথা করবে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনোই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর হালকা কোনো ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন।
৭. গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। ব্যথার অংশে পানি ঢালুন। খুব আরাম দেবে। ব্যথা কমবে।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে