ডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটে একসাথে দু’বোনের আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। চলছে নানা আলোচনা এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ। আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর ) ভোরে নগরীর মজুমদারি এলাকার ৩১ নম্বর বাসা থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮টার দিকে দু’বোন দা নিয়ে একই এলাকায় অবস্থিত তাদের চাচার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে নামাজ আদায় করেছিল ছোটবোন ফাতেমা। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঐ বাসা থেকে তারা বেরিয়ে এলেও নিজের ঘরে ফিরেনি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, মৃত রানী ও ফাতেমা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্যরা কিছুটা অন্যরকম জীবন যাপন করতেন। অনেকটা আইসোলেটেড থাকতেন তারা। এলাকাবাসীর সাথে খুব একটা মিশতেন না। তাদের চাচাত ভাই রাতেই তাদের সমস্যা জানতে তাদের বাসায় যেতে চাইলেও দু’বোনই বাধা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সেখানে গেলে তাকেও ওরা মেরে ফেলবে।
আরও পড়ুন:
সিলেটে দুই বোনের ‘আত্মহত্যার’ নেপথ্যে ‘বিয়ে’? (ভিডিও দেখুন)
সিলেট নগরীতে ছাদের পিলারে দুই বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কয়েস লোদী আরও বলেন, রানী নবম শ্রেণী পর্যন্ত ও ফাতেমা মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় পারিবারিক কলহ হত বলে প্রতিবেশীরা আমাকে বলেছেন।
নগরীর আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, সুরতহালে আঘাতের কোনো চিহ্ন মিলেনি। তবে তাদের পরিবারের সদস্যদের কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তারা খুব চাপা স্বভাবের। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে তাদের তেমন যোগাযোগ নেই।
উল্লেখ্য, রানী ও ফাতেমারা মজুমদারি এলাকার মৃত কলিম উল্লাহর মেয়ে। তাদের আরও দুই ভাই ও দুই বোন আছেন।