অনলাইন ডেস্ক:: লোহাগাড়ায় প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় উম্মে ফাতেমা সাদিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুখছড়ি তালুকদারপাড়ার মমতাজুল ইসলামের কন্যা ও পশ্চিম কলাউজান শাহ মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী উম্মে ফাতেমা সাদিয়া জানায়, ‘২০২০ সালে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিদ্যালয়ে নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে আসছে। উক্ত অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি থেকে অটোপাসের মাধ্যমে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। চলতি বছরের বিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ করি।’
‘কিন্তু নিয়মানুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আপত্তি জানান। প্রধান শিক্ষক জানান অষ্টম শ্রেণিতে তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ভুলক্রমে তার ফাইলটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এসএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। তাকে পুনরায় অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান শিক্ষক।’
শিক্ষার্থীর পিতা মমতাজুল ইসলাম জানান, ‘এসএসসি পরীক্ষার জন্য তার মেয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারার কারণ জানতে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাদের অবহেলার কারণে তার মেয়ের শিক্ষা জীবনের ৪ বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন জানান, ‘অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চলাকালীন ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পিইসির সনদ ও জন্মনিবন্ধনের কপি ঠিক সময়ে দিতে না পারায় তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি।’
রেজিস্ট্রেশন না হলেও ৯ম শ্রেণীতে ক্লাস ও বেতন নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘করোনার কারণে সব ক্লাসে অটোপাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর শিক্ষার্থীর রেজিস্টার বহিতে যে নামগুলো ছিল সবই পরবর্তী ক্লাসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ভুলবশত ওই শিক্ষার্থীর নামও পরবর্তী ক্লাসের রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।’
লোহাগাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ‘প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার অভিযোগ এনে এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি সরেজমিন তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’