অনলাইন ডেস্ক:: আমাদের আশপাশের পরিবেশে, এমনকি ঘরের ভেতর ধুলার মধ্যে জমে থাকে মাইট নামে কিছু ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীট। এই অতিক্ষুদ্র কীট বা মাইটের বিপরীতে আমাদের শরীরে কিছু বিরূপ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এই ‘বিরূপ অনুভূতি’ই ডাস্ট অ্যালার্জি বা ডাস্ট মাইট অ্যালার্জি।
ডাস্ট মাইট কোথায় থাকে?
আণুবীক্ষণিক ডাস্ট মাইট গরম ও আর্দ্র পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। সাধারণত আমাদের ঘরের বিছানা, আসবাব ও কার্পেটের ওপর যেখানে ধুলা জমে থাকে, সেখানে থাকতে পছন্দ করে। এরা মানুষের ঝরে যাওয়া ত্বকের মৃত কোষ খেয়ে জীবন ধারণ করে।
ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষণ
১. হাচিঁ ও শুকনো কাশি
২. নাক দিয়ে পানি পড়া
৩. চোখ চুলকানো ও চোখ
৪. দিয়ে পানি পড়া
৫. নাক বন্ধ হওয়া
৬. নাক, চোখ, গলা চুলকানো
৭. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া
ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে অনেক সময় হাঁপানির মতো জটিল রোগ হতে পারে। এর লক্ষণ-
১. শ্বাসকষ্ট
২. শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের ভেতর চিঁচিঁ আওয়াজ হওয়া
৩. বুকে চাপ লাগা বা বুকে ব্যথা
৪. শ্বাসকষ্টে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া
৫. ঝুঁকিতে আছেন যাঁরা
৬. যাঁদের বংশে ডাস্ট অ্যালার্জি আছে
৭. যাঁরা খুব বেশি ধুলাবালিতে থাকেন
৮. শিশু চিকিৎসা না করালে ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে সাইনোসাইটিস ও হাঁপানির মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কীভাবে নির্ণয় করা যায়
রোগ ও রোগীর বিস্তারিত জানলে এ রোগ সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ছাড়া অ্যালার্জির স্কিন ও রক্তের টেস্ট করিয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়।
ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায়
১. ঘরবাড়ি, বিশেষ করে বিছানা, আসবাব ও কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করা।
২. ধুলাবালিতে কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা।
৩. শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা দেওয়া।
৪. নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা, যাতে ত্বক থেকে ঝরে পড়া
৫. মৃত কোষ ঘরে জমতে না পারে।
চিকিৎসা
ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসা খুব সরল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
লেখক: ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।