ঢাকাMonday , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

চাকরি ছাড়লেও সমস্যা, কাজ করলেও সমস্যা: শবনম ফারিয়া

নিউজ পোর্টাল ২৪
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ ১:০৫ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক:: সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। মাসখানেক আগে তিনি ওই কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছেন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ফারিয়া উল্লেখ করেন, কিছু বিষয় এখন পরিস্কার করার সময় এসেছে। আমি জুন-জুলাই এই দুই মাস একটি “ই কমার্স সাইটে” তাদের গণসংযোগ বিভাগে কাজ করেছি। আমি সেখানে যোগদানের ১৫ দিন পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রিপোর্ট চলে আসায় তাদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে এসেছিল। জুলাইয়ের পর আমার দাপ্তরিক কোন কাজই ছিল না! তাই আগস্টে আমি চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে আসি।

তিনি আরও জানান, আমি কখনও প্রকাশ্যে কোথাও এই কোম্পানির প্রমোট করিনি। কখনো বলিনি আপনারা বিশ্বাস রাখেন কিংবা আস্থা রাখেন। কারণ সেখানে দাপ্তরিক কাজের বাইরে আমার কোনো কিছু প্রচার প্রকাশের কোনো চুক্তি ছিল না। যেহেতু আমি পেশায় অভিনেত্রী সুতরাং আমাকে কোনো কোম্পানির প্রচারের কাজে অংশ নিলে আলাদা সম্মানি দিতে হয়। সেখানে সেই সুযোগ নেই।

চাকরি ছাড়ার বিষয়টি না জানানোর বিষয়ে ফারিয়া যুক্তি উপস্থাপন করেন, আমি অহেতুক আলোচনার অংশ হতে চাইনি। আরিফ আর হোসাইন ভাই যখন বললেন, তিনি আর এখানে কাজ করছেন না। তখনও আপনারা তাকে নিয়ে ট্রোল করলেন। চাকরি ছাড়লেও সমস্যা, কাজ করলেও সমস্যা! কোথায় যাবো? অপ্রয়োজনীয় আলোচনার অংশ হতে ভাল লাগে না। কিন্তু আমার ভাগ্য এতো খারাপ কেন, আমারই সবসময় আলোচনা/সমালোচনায় পড়তে হয়।

বিবৃতিতে তিনি প্রকাশিত কিছু সংবাদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, কিছু গণমাধ্যম লিখছে আমি নাকি অভিযোগ করেছি বেতন পাইনি! কাকে অভিযোগ করেছি? কখন অভিযোগ করেছি? কীভাবে করেছি? এই প্রমাণ কেউ দিচ্ছে না! আমার অভিযোগ থাকলে সেটা আমি প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ডিপার্টমেন্টে করবো। সাংবাদিক ভাইদের কেন করবো? তারা কি আমাকে বেতন দেবে?

ইভ্যালি নিয়ে আশা প্রকাশ করে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি যেই কোম্পানিতে কাজ করেছি তারা এখন একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো, তারা সব দায় পরিশোধ করে গ্রাহকদের পাশে থাকবে!

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রিমান্ডের প্রথম দিনে তাদেরকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার পর সীমিত সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের শতশত কোটি হাতিয়ে নেয়ার পর তা কোথায় রাখা হয়েছে সেই ব্যাপারে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। রিমান্ডের প্রথম দিনেই রাসেল ও তার স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এর আগে ইভ্যালির ‘সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা’ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার।