করোনাকালে স্কুল বন্ধের সময় এক উপজেলাতেই ৪০০ বাল্যবিয়ে - News Portal 24
ঢাকাMonday , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনাকালে স্কুল বন্ধের সময় এক উপজেলাতেই ৪০০ বাল্যবিয়ে

নিউজ পোর্টাল ২৪
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ ২:৩৫ অপরাহ্ন
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: করোনাকালে স্কুল বন্ধের সময় বাগেরহাটের শরণখোলায় বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে চারশ’ ছাত্রী। এদের মধ্যে পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও দশর শ্রেণীর শিক্ষার্থীই বেশি। বাল্য বিয়ের কারণে তাদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি নজরে এনে একটি কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিবেদন পেলে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।

শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাইলট হাই স্কুল। যেখানে ছাত্রীর সংখ্যা ৪২৭ জন। প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিলো স্কুল, এই সময়ে বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে কমপক্ষে ৪০ জনের। উপজেলার ৩৬টি স্কুল ও মাদ্রাসায় প্রায় একই চিত্র। করোনার এই সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কমপক্ষে চারশ’ ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই আর পড়াশুনা করছে না।

অষ্টম, নবম, দশম ও দাখিলের ছাত্রীদের বিয়ে বেশি হয়েছে। এমন কি পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীকেও বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছে অভিভাবকরা। এমনই এক ছাত্রী সুমি আক্তার। সে সুন্দরবনঘেঁষা দক্ষিণ খুড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। পড়ালেখায় প্রথম দিকেই ছিলো সে। রোল নম্বর চার।

কিন্তু করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে তার। সে এখন স্বামীর সংসার টানা শিখছে। বাবার সংসারে অভাব বেড়ে যাওয়ায় পড়াশোনাসহ তার অনেক স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা আর অভাবের কারণে মেয়েদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

তারা বলেন, করোনা দুর্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ক্ষতি হয়ে গেছে। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হাবে। এতে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

বিষয়টি নজরে আসায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঝরে পড়াদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন বলছে, বেশিরভাগ বাল্যবিয়ে গোপনে হয় বলে তারা জানতে পারেন না। তবে কোন ঘটনা নজরে এসে সেটি বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০টি আর দাখিল আলিম মাদ্রাসা আছে ১৬টি। যেখানে ৬০ শতাংশই ছাত্রী।