অনলাইন ডেস্ক:: এবার আগেভাগেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলেছে হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে। পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা ছুটছেন উত্তরের এই জেলায়।
একই সাথে পর্যটকরা উপভোগ করছে নানা দর্শনীয় স্থানের সৌন্দর্য। নতুন করে পর্যটন বিকাশের কেন্দ্র হয়ে উঠছে সবচেয়ে উত্তরের এই জনপদ।
পঞ্চগড়ের মেঘমুক্ত আকাশে এখন উঁকি দিচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যের আলোয় কখনো শুভ্র, কখনো গোলাপি এবং কখনো লাল রং ধারণ করে প্রতিনিয়তই রূপ পাল্টাচ্ছে বরফে ঢাকা পর্বত চূড়াটি। যার বিচ্ছুরণ ছড়িয়ে পড়ছে শত শত মাইল দূরেও।
প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চোখে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন রূপ। কিন্তু এবার আকাশ পরিষ্কার থাকায় সেপ্টেম্বরেই দেখা মিলছে এই পর্বতের।
আরোও পড়ুন:: দেশে বসেই হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চাইলে
প্রতিদিন খুব ভোর বেলা এবং পড়ন্ত বিকেলে খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ার মনোরম দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা ছুটছেন পঞ্চগড়ে।
ভারতের সিকিম আর নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পৃথিবীর তৃতীয় ও হিমালয়ের দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের।
যাদের পার্সপোর্ট ভিসা করে বিদেশে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ মিলেনা তাদের জন্য আদর্শ জায়গা পঞ্চগড়। বিভিন্ন স্থান থেকে খালি চোখেই অবলোকন করা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
তবে, কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল সৌন্দর্য দেখা যায় সাধারণত তেতুলিয়া ডাক বাংলোর পাশে মহানন্দা নদীর পাড়ে বা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে।
পর্যটকদের আগমনে কিছুটা নতুন রূপে সাজানো হয়েছে তেতুলিয়াকে। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য নেয়া হয়েছে উদ্যোগ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা এই পর্যটকরা ঘুরে দেখছেন পঞ্চগড়ের নানা দর্শনীয় স্থান। সবুজ চাবাগান, কয়েকশ বছরের পুরনো শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, বদেশ্বরী মন্দির, পাথরের যাদুঘর কিংবা ঐতিহাসিক মহা রাজার দিঘী দেখতেও ভিড় বাড়ছে এই জেলায়।