মায়েদের বুকের দুধ কম হলে কি করবেন? মায়ের স্তনে দুধ না এলে কী করবেন - News Portal 24
ঢাকাSaturday , ১০ জুলাই ২০২১

মায়েদের বুকের দুধ কম হলে কি করবেন? মায়ের স্তনে দুধ না এলে কী করবেন

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ১০, ২০২১ ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

মায়েদের বুকের দুধ কম হবার কারণ ও এর থেকে প্রতিকার

একটি নবজাতক জন্মানোর পরমুহূর্ত হতে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত অবশ্যই শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর  কথা বলা হয়ে থাকে।

এর কারন, নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধই তার সকল পুষ্টির ভান্ডার। আমরা সকলেই জানি বাচ্চা জন্মের সাথে সাথেই মায়ের স্তন হতে যে তরল পদার্থ বের হয় এবং ২-৩ দিন পর্যন্ত থাকে যা শালদুধ (Colostrum) নামে পরিচিত।

এই Colostrum বাচ্চার জন্য অত্যন্ত উপকারী কারন এতে নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও রোগ প্রতিরোধক অনেক এন্টিবডি বিদ্যমান থাকে। এই শালদুধের পরই স্বাভাবিক দুধ নিঃসৃত হয়।

কখনো কখনো বিশেষ কিছু কারনে দুধ নিঃসরণ স্বাভাবিকভাবে শুরু হয় না বা হলেও দেরীতে হয় এবং পরিমানে কম হয়। এই অবস্থাকেই Delayed onset of lactation বলে।

এ সময়ে মা নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় ভোগেন। কারন সফল ব্রেস্টফিডিং শুধু শিশুর জন্যই নয়, মায়ের জন্যও অনেক উপকারী। বুকের দুধের পুষ্টি উপাদান যেমন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে, অপরদিকে মাকেও তার গর্ভকালীন সময়ে বৃদ্ধি পাওয়া ওজন  দ্রুত কমাতে সহায়তা করে, বিশেষ কিছু ক্যান্সার যেমন- ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

কারণ মায়েদের বুকের দুধ কম হবার পিছনে কিছু বিশেষ কারণ বিদ্যমান।

এগুলো হলো:

(১) মায়ের বুকের দুধ কম হবার সাথে বাচ্চা প্রসবকালীন কিছু বিষয় প্রভাব ফেলে। যেমন- প্রসব বেদনা যদি অনেক বেশি সময় ধরে থাকে (long labor) বা বাচ্চা প্রসবে যদি বাধা আসে (long pushing stage) তাহলে তা মাকে শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্যে রাখে যা পরবর্তীতে ব্রেস্টফিডিং এ প্রভাব ফেলে।

(২) বাচ্চা জন্মের সময় মায়ের শরীর হতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষয় হলে (postpartum hemorrhage) তা মস্তিষ্কের পিটুইটারী গ্রন্থিতে আঘাত করে ফলে তা ল্যাক্টেটিং হরমোন কে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যাহত হয়। এটাও মায়েদের বুকের দুধ কম হবার পিছনে বিশেষ একটি কারণ।

(৩) গর্ভকালীন সময় হতে বাচ্চার জন্মদান সময়কাল মায়ের স্তনের গ্রন্থি ও কোষের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কিন্তু যদি প্রি-ম্যাচুউর বাচ্চা হয় তাহলে মায়ের এই বিকাশ বাধা পায় ফলে বুকের দুধ কম হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

(৪) বুকের দুধ কম হবার পেছনে অন্যতম কারন হিসেবে কাজ করে সঠিক উপায়ে বাচ্চাকে না খাওয়ানো। অর্থাৎ বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার ধরন ঠিক আছে কিনা, বাচ্চা আসলেই দুধ টানতে পারছে কিনা, খাওয়ানোর সময় বাচ্চার কাঁধ ও মাথা সমান্তরালে আছে কিনা এই বিষয়গুলো দেখা।

(৬) মায়ের বুকের দুধ কম হবার পিছনে কিছু ওষুধ ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন- ডাইউরেটিক, সিউডোএফিড্রিন বা ইস্ট্রোজেনসমৃদ্ধ কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল ইত্যাদি।

(৭) ল্যাক্টেটিং পিরিয়ডেই মা যদি আবার সন্তান সম্ভবা হয়ে যান সেক্ষেত্রেও মায়ের বুকের দুধ কম হতে পারে। মায়ের খাদ্য চাহিদা পূরণ হতে হবে-দুধ , ডিম শাক সবজি, ফলমূল সঠিক পরিমানে গ্রহণ করতে হবে

(৮) মায়ের খাদ্যাভাস সঠিক হতে হবে। সাধারণত যে সকল মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের দৈনিক খাদ্য চাহিদা অনেক বেশি। পর্যাপ্ত সুষম খাবার ও পানি ঠিক মত না পান করলে দুধ উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।

(৯) অনেক ক্ষেত্রে মায়ের অতিরক্ত দৈহিক ওজন এবং বয়সও প্রভাব ফেলে।

(১০) এছাড়াও ল্যাক্টেটিং মা যদি সিগারেট, এলকোহল গ্রহণ করে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে তাহলেও বুকের দুধ উৎপাদন পদ্ধতি বাধা প্রাপ্ত হয়।

মায়েদের বুকের দুধ কম হলে যা যা করণীয়

(১) বাচ্চাকে ঘন ঘন খাওয়াতে হবে কারন বাচ্চা যতক্ষনে তা গ্রহণ না করে ততক্ষণ পুনরায় দুধ তৈরি হবে না এবং চক্রাকারে দুটি স্তন হতেই বাচ্চাকে দুধ দিতে হবে।

(২) দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই বাচ্চাকে কোলে নেয়ার পজিশন দেখে নিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাচ্চার ঘাড় ও মাথা সমান্তরালে থাকে। এভাবে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ টানতে  পারছে কিনা দেখতে হবে।

(৩) মাকে অবশ্যই সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালরি চাহিদা মেটাতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে।

(৪) ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাতে কোনভাবেই বোতলে খাওয়ানো যাবে না। এতে বাচ্চা আর মায়ের দুধ টানতে চায় না ফলে তা মায়ের let down reflax ও দুধ উৎপাদনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

(৫) অযথা দুশ্চিন্তা না করে মাকে চেষ্টা করতে হবে যেকোন চিন্তার সাথে মানিয়ে চলতে এবং যথাসম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে। রাতে এবং দিনেও যখন বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকবে তখন মাকেও বিশ্রাম নিতে হবে। দুশ্চিন্তা না করে নিজের উপর চাপ কমাতে হবে এবং মাতৃত্ব উপভোগ করতে হবে

(৬) ঘরের বাড়তি কাজ পরিবারের সবার সাথে ভাগ করে নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নিজের উপর চাপ কমাতে হবে।

(৭) দৈনিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে যা মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। যেমন- দুধ, ডিম, বাদাম, শাক-সব্জি, ফলমূল ইত্যাদি। এছাড়াও যেসব মায়েদের বুকের দুধ কম হয় তাদের জন্য ওটমিল (Oatmeal) খুব উপকারী।

অর্থাৎ, যেসব মায়েরা তাদের ব্রেস্টফিডিং পিরিয়ডে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তারা উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্রেস্টফিডিং কনসালটেন্ট এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে কাজ করবেন।

স্তনের দুধ দেরিতে আসলে বা একেবারে না থাকলে কি করণীয়

প্রসবের পরে বুকের দুধ যদি না আসে তবে আপনার মন খারাপ হওয়া বা হতাশ হওয়া উচিত নয়। এটি করার ফলে স্ট্রেস হরমোনগুলি আরো বাড়বে, যার ফলে সমস্যা আরও বাড়বে। কয়েক ঘন্টা অন্তর হাতের মাধ্যমে দুধ বের করে দেওয়া দুধের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং তাই, এটি করা উচিত। স্তন্যদানের সূচনা না হওয়া পর্যন্ত চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ এবং ফর্মুলা দুধ বা দানকারীর দুধের জন্য উন্মুক্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

স্তন্যপান করানো দ্রুত শুরু করার টিপস

বুকের দুধে হাতের ব্যবহার

এমনকি যদি আপনার বুকে দুধ না পান তবুও নিয়মিত হ্যান্ড এক্সপ্রেস বা হাতের ব্যবহার করুন। এটি আপনার স্তনের দুধকে শীঘ্রই প্রকাশ করার অনুমতি দেয়, স্তন্যদানকে ট্রিগার করবে।

আপনার স্তন ম্যাসাজ করুন

আপনার স্তনকে একটি বৃত্তাকার, হালকা গতিতে ম্যাসাজ করুন। চাপটি আপনার বুকের দুধকে তাড়াতাড়ি আনতে সহায়তা করতে পারে।

ত্বকের সাথে ত্বকের যোগাযোগ বাড়ান

ত্বকের সাথে ত্বকের সংস্পর্শের ক্ষেত্রে, আপনি শিশুকে আপনার কাছাকাছি রাখুন এবং তার ত্বককে আপনার ত্বকের সংস্পর্শে স্পর্শ করতে বা আলতোভাবে ঘষতে দিন, এটি দুধের উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। এটি অনেক নতুন মাকে আরও দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দ্রুত সাহায্য করেছে।

কোন ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে চলুন

আপনার চিকিৎসকের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো স্বাস্থ্যের সমস্যার জন্য কোনো ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন, কিছু কিছু ওষুধ মায়ের দুধের উৎপাদন হ্রাস বা বিলম্বিত করার জন্য পরিচিত।

আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন

প্রথমবারেই আপনার ডাক্তারের কাছে দৌঁড়াবেন না। কিছু সময় অপেক্ষা করুন এবং আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবেই এর দুধ খাওয়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে দিন। যদি এটি না ঘটে থাকে, তবে স্তনের দুধ উত্পাদনে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

মা এবং সন্তানের মধ্যে বন্ধন তৈরি করার জন্য স্তন্যপান করানো প্রকৃতির সুন্দর ডিজাইনের একটি অংশ। বুকের দুধ একেবারেই না আসা অত্যন্ত বিরল এবং সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এই অবস্থার সমাধানের জন্য এটি নিয়ে চিকিৎসক এবং স্তন্যদান বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বোপরি, মায়েদের শারীরিক এবং আবেগগত উভয়ভাবে নিজের যত্ন নেওয়া জরুরী।

বুকের দুধ বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

মেথি বীজ

বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায় হচ্ছে মেথি বীজ। কিছু গবেষণা বলছে যে, মেথি বীজ বুকের দুধ উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে। এই বীজে দুধের উৎপাদন বাড়াতে পারে এমন হরমোন প্রিকারসর রয়েছে, কিন্তু গবেষকরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানেন না যে কিভাবে এটা ঘটে।

কিছু গবেষক বিশ্বাস করেন যে, “স্তন মডিফায়েড সোয়েট গ্ল্যান্ড হওয়ার কারণে মেথি বীজ দুধ উৎপাদনে উদ্দীপ্ত করতে পারে। এই বীজ খাওয়ার ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বুকে দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়। ২০১৮ সালের একটি রিভিউ গবেষণা মেথি বীজের এ উপকারিতাকে সমর্থন করছে। আপনি মেথি চা পান করতে পারেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেথি সাপ্লিমেন্ট/ফেনুগ্রীক ক্যাপসুলও সেবন করতে পারেন।”

ফল ও শাকসবজি

বেশি করে তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে- এসব খাবার বুকে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

বেবি অ্যান্ড কোম্পানির সিএনএম ডিএনপি মার্গারেট বাক্সটন জানান, ‘কৃষিজাত খাবারে প্রচুর পানি থাকে, তাই আপনি এসব খাবার খেয়ে পানি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। এছাড়া ফল ও শাকসবজি এমন পুষ্টি সরবরাহ করে যা দুধ উৎপাদন করতে শরীরের প্রয়োজন হয়।’

বুকে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে আপনার সালাদ, স্ন্যাক ও রেসিপিতে বিভিন্ন বর্ণের ফল ও শাকসবজি রাখতে পারেন।

পানি

ডা. বাক্সটন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদেরকে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিচ্ছেন, কারণ স্তন্যপানে মায়ের শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, “স্তন্যপানকালে চিনিযুক্ত শরবত অথবা কোমল পানীয়ের পরিবর্তে পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটানো উচিত।”

এসময় সচরাচরের চেয়ে অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে। বাচ্চাকে প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এক গ্লাস পানি পানে অভ্যস্ত হোন। আপনি পর্যাপ্ত পানি না খেলে মেথির উপকারিতাও পাবেন না।

হার্বাল চা

অ্যাক্ট ন্যাচারাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেসের নোটারি পাবলিক পাম পিন্টো জানান, ‘অনেক অসুস্থতায় হার্বাল চা পানে উপশম পাওয়া যায় এবং কিছু হার্বাল চা দুধ উৎপাদন ও শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।’

বুকে দুধের পরিমাণ বাড়াতে পারে এমন একটি হার্বাল চা হচ্ছে বিছুটির চা বা নেটল টি। বিছুটিতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন থাকে, যা ক্লান্তি দূর করে। এছাড়া এই হার্ব দুধ উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে পারে।

মৌরি

মৌরি সালাদ, মৌরি বীজ, মৌরি স্যূপ ও মৌরি রেসিপি- যেভাবেই খান না কেন, এই হার্বটি ল্যাকটেশন বা দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়ক হতে পারে।

নোটারি পাম পিন্টো বলেন, ‘আপনার বুকে দুধের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে সালাদে কাঁচা মৌরি যোগ করতে পারেন অথবা অন্যান্য শাকসবজির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন। ফ্লেভার সমৃদ্ধ এই হার্ব থেকে ল্যাকটেশন বিষয়ক উপকারিতা পাওয়ার আরেকটি উপায় হচ্ছে মৌরি বীজের চা বা ফেনেল সিড টি পান করা।’

গরম মসলা

তরকারিতে ব্যবহারের জন্য একটি জনপ্রিয় উপকরণ হচ্ছে গরম মসলা। গরম মসলা হচ্ছে বিভিন্ন মসলার ব্লেন্ড যা তরকারিতে ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ। গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে বীজ, জিরা বীজ, মৌরি বীজ, জায়ফল ও তেজপাতা দিয়ে আপনি নিজেই ঘরে গরম মসলা তৈরি করতে পারবেন।

মসলার এই ব্লেন্ড স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকার করে। এটি শরীরকে উষ্ণ করতে পারে বলে এর নাম দেয়া হয়েছে গরম মসলা। আপনার স্তনে দুধের পরিমাণ বাড়াতে তরকারিতে গরম মসলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।

এনওয়াইসি সার্জিক্যাল অ্যাসোসিয়েটসের সার্জন রায়ান নেইনস্টেইন বলেন, ‘গরম মসলা শরীরে ইস্ট্রোজেনের মতো কাজ করতে পারে। সম্প্রতি গবেষণায় পাওয়া গেছে, মসলার এই ব্লেন্ড দুধের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে উদ্দীপনা যোগাতে পারে।’

লেখক: সামিয়া আলম,
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ।