ঢাকাTuesday , ২৭ জুলাই ২০২১

টানা ৩ বছর ধরে শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধ’র্ষণ, গ্রেফতার মেয়ে জামাই

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ২৭, ২০২১ ৮:২৪ অপরাহ্ন
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: টানা তিন বছর নিজের শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধ’র্ষণ ও সেই কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ এবং সেসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। জামাইয়ের বিরুদ্ধে মা ও মেয়ের পৃথক দুটি মামলায় সেই জামাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে। মামলার পর জামাই রুহুল আমিন সরকার আপেলকে (২৬) রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সোমবার (২৬ জুলাই) অভিযুক্ততে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন তার শ্বশুরবাড়ি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। সেই সুবাধে একদিন শাশুড়ির গো’সলের আ’পত্তিকর দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন। পরে ধারণকৃত ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়ির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক করেন।

শারীরিক সম্পর্কের ঘটনাও গোপনে ধারণ করেন রুহুল আমিন। এরপর গত ২০১৮ সাল থেকে ৭ জুলাই, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় রুহুল আমিন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার শাশুড়িকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রুহুল আমিন তার স্ত্রীকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ন’গ্ন ছবি তুলে শাশুড়ির মোবাইলে পাঠাতো এবং ফোনে রেখে মেয়েকে মারপিট ও নির্যাতন করতো।

অন্যদিকে, ‘রুহুল আমিন তার শ্যালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। শ্যালিকাকে গাইবান্ধার পলাশপাড়ার বাসায় ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়ায় ফুফাতো বোনের বাড়ি নিয়ে ধ’র্ষণের চেষ্টা চালায়। শ্যালিকার ধ’র্ষণ চেষ্টার ও অ’শ্লীল দৃশ্য ফেসবুকে প্রকাশ করেন।’

রুহুল আমিন সরকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, প’র্নোগ্রা’ফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা (৩৭ ও ৩৮) করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে ১০ তলা থেকে লাফ দিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

দুটি মামলায় সোমবার বিকেলে রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, আসামি রুহুল আমিনকে পৃথক দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে উপস্থিত করা হয়।

এসময় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।