বিনোদন প্রতিবেদক:: থামছে না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির আবারও বিয়ের গুঞ্জন। তবে মাহিয়া এসব গুঞ্জন পাত্তা দিচ্ছেন না খুব একটা। গুঞ্জনকে বরাবরের মতোই নাকচ করে দিয়েছেন এই নায়িকা।
জুনের মাঝমাঝি গুঞ্জন শোনা গেলেও জুলাইয়েও এসে সেই গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
মাহির ফেসবুকে নানা প্রকার ইঙ্গিতপূর্ণ কথা লেখা থাকলেও বিয়ের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কথা নেই। গাজীপুর চৌরাস্তা অঞ্চলের প্রভাবশালী এক পরিবারের সদস্য তরুণ রাজনীতিক-ব্যবসায়ীকে নাকি বিয়ে করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে বিষয়টি মাহী অস্বীকার করেছেন।
জুনের ফেসবুক টাইমলাইন ঘেঁটে দেখা গেল মাহিয়া মাহি ফেসবুকে ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে স্বামী অপুর দিকে নির্ণিমেষ তাকিয়ে আছেন তিন্নি। তার পরেই ক্যাপশন জুড়ে দেওয়া হয়েছে, ‘তুমি না থাকার শোক অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে দেয় না। আমি তো তোমার দিকেই চেয়ে থাকি, চোখ তো অন্যদিকে যায় না।’ ক্যাপশনের সঙ্গে একটি দুঃখসূচক ইমোজি।
এই বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়া নেটিজেনদের বোঝাতে চাইলেন, ‘অপু ছাড়া অন্য কাউকে তিনি ভাবেন না। তার সঙ্গে বিচ্ছেদের শোক অন্য কাউকে ভাবতে দেয় না। এমনকি তার জন্যই অন্য কারো দিকে চোখ যায় না।’ তবে স্পষ্ট জানালেন, তার জীবনে কোনো পুরুষের আবির্ভাব ঘটেনি।
গত বছরের শুরুর দিকেও মাহিয়া মাহির বিবাহবিচ্ছেদের খবর শোনা যায়। সে সময় মাহি বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের সংসার নিয়ে এক সঙ্গেই আছি এবং ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্। আপনাদের উল্টাপাল্টা নিউজে সত্যিই মানুষ বিভ্রান্ত হয়, প্লিজ স্টপ ইট।’ তবে এ বছর এসে সে কথা বাস্তবে পরিণত হয়। অপু ও মাহি আলাদা হয়ে যান।
এদিকে নতুন বিয়ে বিষয়ে সমালোচকরা বলছেন, ‘যা রটে তা কিছু না কিছু বটে। রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহী বন্ধু বটে, তবে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে বা পরে বন্ধুত্ব গড়িয়েছে প্রণয়ে। তারই সফল পরিণতি হতে পারে বিয়ের মধ্য দিয়ে। তবে এর কিছুই প্রকাশ করা যাচ্ছে না এখন।’
অবশ্য মাহির ফেসবুকে সম্প্রতি একটি পোস্ট দেখা যায়, ‘যেখানে মাহিকে অনেকগুলো বেলুন হাতে গাড়ির সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকত্রে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন ‘আমি ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছি আবার ১২ দিনের সম্পর্ক আজীবন টিকে যেতেও দেখেছি।’ কী বোঝাতে চেয়েছেন মাহি তা সময়ই বলে দেবে।’
২০১৬ সালে বিয়ে করেন ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি। তার স্বামী অপু যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করে সিলেটে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে সে বছর ২৫ মে তাদের বিয়ে হয়।