ঢাকাFriday , ২ জুলাই ২০২১

দুই বছর ৭ মাস বয়সী ‘শাকিব খান’ এর ওজন ৩১ মণ!

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ২, ২০২১ ৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:: বাসাইলের তরুণ উদ্যোক্তা জিসানের খামারে আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ছয়টি ষাঁড়। এর মধ্যে ৩১ মণ ওজনের শাকিব খানের দাম হাঁকা হচ্ছে ‘১৩ লাখ টাকা’।

শান্ত প্রকৃতি ও সাদা রঙের ফ্রিজিয়াম জাতের ষাঁড় শাকিব খান। খামারে জন্মের পর এ নাম রাখা হয়েছে। ষাঁড়টি লম্বায় সাত ফুট।ওজন প্রায় ৩১ মণ। বয়স দুই বছর সাত মাস। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামে জিসানের বাড়ি। তাঁর খামারে লালিত-পালিত এই শাকিব খান। এটিই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তাঁর।

জানা যায়, ‘দুই বছর সাত মাস আগে তরুণ উদ্যোক্তা জিসানের খামারেই জন্ম হয় শাকিব খানের। জন্মের পর থেকেই দেশীয় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে তাকে। দানবাকৃতির এই শাকিব খানকে দেখতে প্রায় প্রতিদিনই উৎসুক জনতা ভিড় করছেন জিসানের খামারে। এর মধ্যে ক্রেতারাও আসছেন ষাঁড়টি কিনতে। জিসান এই ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১৩ লাখ টাকা।’

জোবায়ের ইসলাম জিসান বলেন, ষাঁড়টির রং সাদা। খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ক্ষতিকর কোনো ওষুধ কিংবা বিকল্প খাবার ছাড়াই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩১ মণ।এর দাম চাইছি ১৩ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের শেষের দিকে খামার শুরু করি। বর্তমানে খামারে ২৫টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে শাকিব খান ছাড়াও প্রায় একই ওজনের রয়েছে আরও একটি ষাঁড়। তার নাম রাখা হয়েছে ডিপজল। তার গায়ের রং কালো।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, জিসানের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়।

আরও পড়ুনঃ  জুড়ীতে শাহিনা রেস্টুরেন্টে দুই নারীসহ জনতার হাতে ম্যানেজার আটক

এ প্রসঙ্গে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কারো কোরবানির পশু যেন চুরি না হয় সে জন্য পুলিশ বিশেষ টহল ব্যবস্থা শুরু করেছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।’