ঢাকাSunday , ১৮ জুলাই ২০২১

লকডাউনে অসহায় দরিদ্ররা বাধ্য হচ্ছেন কিডনি বিক্রি করতে

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ১৮, ২০২১ ৪:১২ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: সম্প্রতি ভারতের আসাম রাজ্যের ধরমতুল গ্রামে বেশ কিছু মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা দারিদ্র্যের জন্য নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ভারতীয় বাংলা গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি খবরে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দরিদ্র গ্রামবাসীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিতো একটি দালাল চক্র।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ‘ইতোমধ্যে গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কিডনি পাচারকারী ওই চক্রের মূল হোতা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।’

সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ‘রাজমিস্ত্রি সুমন্ত দাস (৩৭) লকডাউনে কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। ছেলের অপারেশনের জন্য পাঁচ লাখ ভারতীয় রুপিতে নিজের কিডনি বিক্রি করে দেন তিনি। তবে দালাল চক্রটি শেষ পর্যন্ত তাকে দেড় লাখ রুপি দিয়েছে। ফলে ছেলের অপারেশন করাতে পারেননি তিনি।’

‘এছাড়াও কৃষ্ণা দাস, যার স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম, তিনিও লকডাউনে দারিদ্র্যের কষাঘাতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন নিজের কিডনি। সাড়ে চার লাখ রুপিতে বিক্রি করলেও তিনি পেয়েছেন এক লাখ রুপি।’

লকডাউনে এই চক্রটি ব্যাপকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালালেও লকডাউনের আগে থেকেই তারা সক্রিয় ছিল। পুলিশ ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে চক্রের সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এ ঘটনায় আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর ছেলে গৌরব গগৈ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসামের চক্রটির সাথে কোলকাতার পাচারকারীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।