রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক
মায়াবী কাজল
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
মুখোশ ধারী সব লম্পট।
দেহ মন ভরা লোভ, ক্ষোভ।
নাই কোনো বিবেক বোধ।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
সমাজের হলো ওরাই শাসক।
রক্ষকতা আজ বড় ঘুষখোর,
মানুষের তাই এতো দুর্ভোগ।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
ভালো নয় এদের স্বভাব আচরণ।
অন্যায়কে করে ওরা সমর্থন,
যা সমাজের জন্য খুবই মারাত্মক।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
সমাজ জীবনে নেমেছে দুর্যোগ।
মানবতার ওরা বড় দুশমন।
ভালো মানুষের হয়না স্বপ্ন পূরণ।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
ন্যায়ের পক্ষে দেয় না ভোট।
ওদের জন্য সমাজে ধরছে পচন,
অত্যাচারীর তাই হয়না পতন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
ভদ্রবেশে সেজে থাকা চোর।
ওদের জন্য সমাজে গন্ডগোল।
খুঁজে পাইনা শান্তিনিকেতন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
মানুষকে করে ওরা শোষণ।
পাপিষ্ঠ ওরা নয় ভালো লোক।
শকুনের মতো ওদের দৃষ্টিকোন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
জন্তু-জানোয়ারের মতো মারে ছোবল।
দেখে না ওরা কারো রোদন।
সাপের ন্যায় ওরা করে দংশন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
দেখায় ওরা ক্ষমতার দাপট।
করে না ওরা অন্যের কদর,
বোঝেনা ওরা মানব দরদ!
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
সব কিছু চায় নিজের মতন।
ওদের চরিত্রের এমন ধরণ
আত্মসার্থে কেড়ে নেয় জীবন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক।
সমাজকে চুষে খায় জোকের মতন।
নিজেকে নিয়ে থাকে ব্যাস্ত সারাক্ষণ
মানবতাকে ওরা দিয়েছে বির্সজন।
রক্ষকরা আজ বড় ভক্ষক
ওরা হিংসুটে পাষান্ড বর্বর।
সঠিকভাবে করে না দায়িত্ব পালন,
সমাজে অশান্তি ওদের কারণ।
রক্ষকতা আজ বড় ভক্ষক।
পাথরের স্তুপ দিয়ে গড়া অন্তর।
স্বার্থের জন্য এরা যখন তখন
গিরগিটির মতো করে রং বদল।
বিচারের বানী নীরবে কাঁদে
অপরাধী যায় পার পেয়ে।
অত্যাচারী হয় স্বেচ্ছাচারী
থাকে না তার মনে ভয়ভীতি।
নিরপরাধীর সকল দ্বার রুদ্ধ।
পথে-ঘাটে, ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত
হচ্ছে তারা নির্যাতিত, নিপীড়িত।
এদের হাহাকারে ধরণী, প্রকৃতি প্রকম্পিত।
মেঘের অন্তরালে সত্য ঢাকা পড়েছে
মিথ্যা ছেয়ে গেছে আসমান জমিনে।
সত্যের হয় তাই বলিদান।
মিথ্যার গায় সবে গুনগান।