ঢাকাSunday , ১৮ জুলাই ২০২১

যদি গোখরো সাপের উপরে পা পড়ে আর উল্টে কামড় বসায় তাহলে বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই : ভিপি শামীম

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ১৮, ২০২১ ৮:১২ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

মনে করুন, আমরা ১০ জন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে রাতের অন্ধকারে হাঁটছি। আকাশে চাঁদ। ঝাপসা ঝাপসা রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে। দিনে মানুষ এদিকে আসা যাওয়া করতে করতে মোটামুটি একটা হাঁটার পথ তৈরী হয়ে গেছে। মনে করেন জঙ্গলের ঐপারে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ি। তিনি ডাক দিয়েছেন আমাদের সবাইকে সেখানে যেতে হবে। চাঁদনী রাতে  জঙ্গলের পথ ধরে আমরা ১০ জন হাঁটছি।

আমাদের ভিতরে প্রচুর সাহস। আমরা ১০ জনের একটি গ্রুপ তাই।  এ জঙ্গলের রাস্তাটি অত্যন্ত বিপদসংকুল। এখানে সাপ থাকতে পারে বিচ্ছু থাকতে পারে। আরো নানা রকমের প্রাণী থাকতে পারে। আমাদের কাছে কোন টর্চ নেই। আলো নেই দিয়াশলাই নেই । চেয়ারম্যান ডেকেছেন বিধায় আমরা যাচ্ছি। কারণ চেয়ারম্যান আমাদের। মাথার মুকুট।

এই দশজনের মধ্যে কাকে সাপ কামড়ে দেবে সেটা আমরা জানি না। কিন্তু সাপ যে কামড়ে দেবে সেটা আমদের মাথায় আছে।  আমাদের সবার ভিতর সাহস আছে। আমি মনে করি সাপ আমাকে  কামড়াবে না। অন্যজনও অনুরূপভাবে মনে করে  তাকেও কামড়াবে না।
এ মধ্যে হঠাৎ করে যদি কোন সাপের উপর পা পড়ে যায় তাহলে সাপ  কামড়ে দেবে। যদি ডোরা সাপের উপরে পা পড়ে সে কামড়ালে আমাদের কিচ্ছু হবে না। কারণ তার দাতে বিষ নেই। একটু জ্বালাপোড়া হবে পরে আবার ঠিক হয়ে যাবে।

যদি গোখরো সাপ কামড় বসায় তাহলে বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক সাপ হলো  গোখরো সাপ। চেয়ারম্যান সাহেব জঙ্গলের ওপার থেকে ডাক দিয়েছেন,  পাগলের মতো ছুটে যাচ্ছি । এটা যে বিপদসঙ্কুল পথ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে হবে তার জন্য আমরা টর্চ নেইনি। টর্চ থাকলে আমরা দেখে দেখে চেয়ারম্যান সাহেবের   বাড়ি নিরাপদে চলে যেতে পারতাম। চেয়ারম্যান সাহেবের ডাক  শুনতে হবে। তবে  নিজেকে সুরক্ষিত  রাখার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করে তারপর চেয়ারম্যান সাবের  বাড়িতে যাওয়া উচিত । আগে নিজেকে বাঁচাতে হবে তারপর সেখানে যেতে হবে। নিজে যদি না বাঁচি তাহলে সে সেখানে পৌঁছা কোনমতে  সম্ভব না।

কি জন্য কথাগুলো লিখলাম? আমরা রাজনীতি করি আমাদের অনেক নির্দেশ আসবে। সেগুলি আমাদেরকে পালন করতে হবে। যেহেতু আমরা সমাজের জন্য কাজ করি। করোনার মধ্যেও ক্যাটাগরি আছে। করোণার মধ্যে ঢোঁড়া সাপ আছে যেটা কামড় দিলে আমরা সহ্য করতে পারি। আমরা আবার সুস্থ হয়ে যেতে পারি। করোনার মধ্যে গোখরো সাপ আছে মানে ডেল্টা বেরিয়েন্ট। এটা এতটুকু সময় দেয় না।

আমরা আমাদের নেতাদের কথা শুনবো। নির্দেশ পালন করবো।  তবে  নিজেকে সুরক্ষিত রেখে। চাঁদনী রাত্রিতে আমরা টর্চ ছাড়া যেভাবে চলছি। সাপ কামড় দেবে বা বিচ্ছু কামড় দিবে নিশ্চিত জেনেও রিক্স নিয়ে হাটছি। অন্ধকারে যেভাবে সাপ,বিচ্চু  চোখে দেখা যায় না। ঠিক সেভাবেই করোনাকে দেখা যায় না। কোন দিক থেকে এসে কখন কিভাবে আক্রমণ করে সেটা বলা যায় না।

তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিলেট ৩ আসনের  উপনির্বাচনে আমরা সহ, আমাদের যুবলীগ আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ আওয়ামী ঘরানার সব মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন। তারাও জানেন যে কোন সময় করোনা আক্রমণের শিকার হতে পারেন। কিন্তু আমরা নৌকা পাগল মানুষ।  নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য চাঁদনী রাতে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটছি টর্চ ছাড়া  যেকোনো সময় যেকোনো সাপ আমাদেরকে কামড় দিতে পারে। কিন্তু মাথায় আমাদের একটাই,  নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

আমরা নৌকাকে বিজয়ী করবো কিন্তু নিজেকে সুরক্ষিত রেখে। চাঁদনী রাত্রিতে যেভাবে হেঁটে জঙ্গল পাড়ি দিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য টর্চের প্রয়োজন। ঠিক সেভাবে আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত  থাকতে মাক্স, স্যানিটাইজার এগুলি প্রয়োজন। অর্থাৎ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা দয়া করে মাক্স,স্যনিটাইজার ব্যবহার  করবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে নৌকার জন্য কাজ করবেন। আমরা জেলা যুবলীগের নির্দেশনায়  উপজেলা যুবলীগের  সবাইকে  প্রত্যেক ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে ১৫ জনকে দিয়ে ।

আমার সোনার ভাইয়েরা দিনরাত পরিশ্রম করছে। প্রতিটি ঘরে নৌকা মার্কা অর্থাৎ হাবিব ভাইয়ের সালাম পৌঁছে দিচ্ছে কিন্তু তারা জঙ্গল দিয়ে হাঁটছে চাঁদনী রাতে টর্চ ছাড়া। তারা জানে যে কোন সময় যে কোন সাপ তাদেরকে আক্রমণ করতে পারে, কামড় দিতে পারে তারপরে আমাদের নির্দেশনা মানার জন্য তারা প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে। আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করি আল্লাহ যেন কাউকে করোনা না দেন । যদি কারো অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে তাহলে সারা জীবন কান্না করেও  সেটা মুছতে  পারবো না। নিজেকে আসামী হিসাবে বিবেকের  অপরাধীর কাঠগড়ায় সারাজীবন থাকতে হবে। সেই কারনে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেনো আমাদের সবাইকে হেফাজতে রাখেন।

পাশাপাশি সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা সবসময় চাঁদনী  রাত্রিতে হাঁটতে যা ইউজ করা হয় সে টর্চটা অর্থাৎ মাক্স, স্যানিটাইজার ইউজ করবেন। নৌকার বিজয় চিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ। যেভাবে যুবলীগ কাজ করে যাচ্ছে তা যেনো ২৮ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুন।

লেখা: ভিপি শামীম