শাহাদাত হোসেন রাসেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি:: নোয়াখালী টাউনহল টি নোয়াখালীবাসীর গৌরব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত টাউন হল গুলির মধ্যে নোয়াখালী টাউন হল অন্যতম। নোয়াখালী জেলার তৎকালীন প্রশাসক মি. সূর্য কুমার অগাস্টি ১৮৯৬ সালে নোয়াখালী টাউন হল প্রতিষ্ঠা করেন।
এই টাউনহলের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ব্রিটিশ ভারতের সময়কাল থেকে ঊনিশশত ষাটের দশক অবধি নোয়াখালী টাউনহল ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী টাউনহলেই জেলা আওয়ামীলীগের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং স্বাধীনতার সনদ ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালী টাউনহল ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ট্রোল রুম।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে হানাদারমুক্ত নোয়াখালীর স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে ছাত্র-জনতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উৎসব করেন এই টাউনহলের সামনে থেকেই।
সুতরাং এক কথায় বলা যায়, নোয়াখালী টাউন হল নোয়াখালী বাসীর অত্যন্ত গৌরবের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে এখন ভগ্নদশায় পতিত হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মানুষের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের মহোদয় এবং নোয়াখালী সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নোয়াখালীর আপামর জনগণ।
নোয়াখালী টাউনহলের বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর ভবন নির্মাণ সময়ের দাবি। নোয়াখালী টাউনহলের প্রস্তাবিত বহুতল ভবনে একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাল্টিপারপাস মিলনায়তন, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, ভিআইপি লাউঞ্জ, মহড়াকক্ষ, গণপাঠাগার, অতিথিকক্ষ, আধুনিকমানের ক্যান্টিন রাখার ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণের প্রকল্প একনেকে পাশ করানোর পদক্ষেপ নিতে মাননীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন নোয়াখালীবাসী।