ঢাকাMonday , ২৬ জুলাই ২০২১

কোম্পানীগঞ্জে ৩য় ধাপের লকডাউনে সড়কে ও হাটে-বাজারে বেড়েছে মানুষ, মাঠ প্রশাসনের তৎপরতা ধীর গতির

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ২৬, ২০২১ ৩:০৯ অপরাহ্ন
Link Copied!

শাহাদাত হোসেন রাসেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি:: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আর লকডাউনের তৃতীয় ঢেউয়ের চতুর্থ দিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সড়কে, হাটে বাজারে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও মানুষের চলাচল ও দোকান পাটে আড্ডা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মাঠ প্রশাসন ও আইন শৃংঙ্খলা বাহনীর সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো নয়।

ফলে অলিতে, গলিতে, চা দোকানে বেশির ভাগ সড়কে মানুষের ভীড় লক্ষনীয় আজ সোমবার (২৬ জুলাাই) উপজেলার বসুরহাটসহ প্রত্যেক ইউনিয়নের হাট বাজারে পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। লকডাউনে দূর পাল্লার গাড়ী বন্ধ থাকলেও সড়ক গুলোতে সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি-মাইক্রোবাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে অবাধে চলছে রিকশা ও মোটরসাইকেল।

মাঠ প্রশাসনের তৎপরতা দেখাগেছে ঢিলে ঢালা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে ও মোড়ে মোড়ে আগের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে দেখা যায়না। মাঝে মধ্যে মনে চাইলে টহল দিয়ে নিজেদের মত করে চলে যায়। আবার বসুরহাট মুজিব চত্বরে স্কাউট মার্কেট, থানার সামনে মাওলা শপিং সেন্টার, একতা হোটেল, হিরা সুইটস্, হার্ডওয়ার দোকান সহ বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাতের ৮টার পরও অদৃশ্য কারনে তারা আগের নিয়মে খোলা রেখে দাপটের সহিত ব্যবসা করে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশ বাহিনী সদস্যদেরকে ওই সব দোকানে চা-সিগারেট মুখে নিয়ে গল্প করতে দেখা যায়।

কোম্পানীগঞ্জে যেভাবে চলছে দেখে মনে হয়না দেশে কোন লকডাউন আছে। যেমনি চায়ের দোকানে ও অলিগলিতে আড্ডা বেড়েছে তেমনি পুলিশের তৎপরতাও কমেছে।

বেসরকারি একটি ওষুধ কোম্পানীর এমপিও দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুর হোসেন রাজিব। তারা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ঘরে থাকতে চাচ্ছে না, সবাই জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে বাইরে আসছেন। কিন্তু আসলে কয়জন মানুষের জরুরি কাজ আছে সেটাই দেখার বিষয়। প্রশাসন যদি মানুষের অপ্রয়োজনে অবাধ চলাচল বন্ধ করতে না পারে তাহলে এ ধরনের লকডাউন দিয়েও কোন ফল আসবে না।’

আরও পড়ুনঃ  ফুলবাড়ীতে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি সুপ্রভাত চাকমা’র সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, মাঠে দু’টি মোবাইল টিম কাজ করছে আজ মোবাইল টিম ৮টি মামলায় ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার টাকা) জরিমানা আদায় করেছে। মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে প্রশাসনের একার দ্বারা সম্ভব নয়। কোথাও দোকান পাট খোলা থাকলে এবং মানুষজন এমন ভিড় করলে আমাকে জানাবেন।