লাইফস্টাইল ডেস্ক:: বিয়েকে সহজ করতে বলার পিছনে নিশ্চয়ই কারণ আছে। আর এখানে কম বয়সে বিয়ে বলতে অপ্রাপ্ত বয়সকে বোঝানো হয়নি বরং সেই বয়সকে বোঝানো হয়েছে বিয়ের উপযুক্ত বয়সকে; যে বয়সে একটি ছেলে/মেয়ের জীবনসঙ্গী প্রয়োজন।
বিয়ে প্রত্যেকটি নারী ও পুরুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ আমরা সামাজিক জীব। একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। এবং নির্দিষ্ট একটি বয়সের পরে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য প্রত্যেকেরই একজন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন হয়। যদিও আজকের সমাজ ব্যবস্থা এই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে করে তুলেছে কঠিন। অথচ স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ (সা.) নিজে বলেছেন, বিয়েকে এতোটাই সহজ করে দাও যেন জিনা করা কঠিন হয়ে যায়।
ঠিক কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। অনেকেরই ধারণা বেশি বয়সে বিয়ে করাই সঠিক। কারণ বিয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবতে না করেন।
কিন্তু জানেন কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্তই বুদ্ধিমানের মতো কাজ। এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ হয়ে যাবে। অনেক ধরণের সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারবেন।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কম বয়সে বিয়ে করার সুফলগুলো-
১. আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ কর কি’ ইত্যাদি বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
২. আপনি যদি ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে যে, বিয়ে করা উচিত তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করা ভালো। যখন আবেগ কাজ করে অনেক।
৩. বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সন্তান হয়ে গেলে দু’জনের একান্ত সময় কাটানো খুব বেশি হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।
৪. একাই সুখ-দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দু’জনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।
৫. সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে। আর আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।
৬. দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে করার পর, কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙেও যায়, তারপরও জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়।
৭. একটি ছেলে অথবা মেয়ের খারাপ পথে যাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য বয়স হলো ২০/২১। এ সময়টায়ে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অনেকেই তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণে খারাপ পথ বেছে নেয়। বিভিন্নভাবে অর্থ অপচয় করে। অনেকেই আবার প্রেম নামক সম্পর্কে জড়িয়ে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট করে। কেউবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ভীষণ রকম ডিপ্রেশনে ভুগে। অথচ কম বয়সে বিয়ে করলে এ ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
৮. বয়স বেশি হয়ে গেলে অনেক নারীই সন্তান ধারণে জটিলতায় পড়েন। এক্ষেত্রে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, আবার গর্ভধারণ হলেও তা অনেক সময় স্থায়ী হয় না।
৯. তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে সন্তানকে বড় করে প্রতিষ্ঠিত করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। না হলে সন্তান স্কুল পার হওয়ার আগেই বাবা-মায়ের দুনিয়া পার হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
১০. এছাড়া একজন চুলসাদা বয়স্ক মানুষ ছয় বছরের ছেলের হাত ধরে বের হলে যে কেউ নানা-নাতি মনে করে ভুল করতেই পারে।