‘অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে নান্দনিক সিলেট-৩ আসন গঠনে আত্মনিয়োগ করতে চাই’ : হাবিবুর রহমান – News Portal 24
ঢাকাMonday , ১৯ জুলাই ২০২১

‘অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে নান্দনিক সিলেট-৩ আসন গঠনে আত্মনিয়োগ করতে চাই’ : হাবিবুর রহমান

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুলাই ১৯, ২০২১ ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্বাচনী ইশতেহার

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”

পার্ট১–সম্মানীত ভোটারবৃন্দ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব
শুরতেই আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। একই সাথে জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া আজকের উন্নয়নের বাংলাদেশের রূপকার মাদার অব হিউমিনিটি বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কান্ডারী শেখ হাসিনার প্রতি জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেসা মুজিবের প্রতিও জানাচ্ছি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চারনেতার স্মৃতির প্রতি। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জানাচ্ছি সালাম। আমি শ্রদ্ধার সাথে আরও স্মরণ করছি সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগেও করোনা আক্রান্ত হয়ে দলীয় যে সকল নেতাকর্মী আমাদের মাঝ থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন।

সিলেট-৩ আসনের সম্মানীত ভোটারবৃন্দ
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত ছিলেন জননেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। কিন্তু গেল ১১ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করায় ওই আসনটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আমি প্রয়াত এই জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আপনারা জানেন যে এক অনিবার্য সত্যের নাম মৃত্যু। এই সত্যকে আমাদের মেনে নিতে হয়, নিতে হবে। সেই সাথে মরহুম এই সংসদ সদস্যের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করত : উন্নয়ন সমৃদ্ধ একটি নান্দনিক সিলেট-৩ আসন গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।

আপনারা জানেন, আগামী ২৮ জুলাই ২০২১ ইংরেজি সিলেট- ৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে উন্নয়ন রাজনীতির এই সময়ে এই উপ-নির্বাচনটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসন নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের একটি রূপরেখা তৈরি করেছি। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত এবং আমার প্রতি আপনাদের আস্থা ও সহযোগীতা থাকলে আমি সর্বশক্তি ব্যয় করে নান্দনিক সিলেট-৩ আসন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।

পার্ট-২
সূধী
কথায় আছে টাইম ইজ শর্ট, বাট আর্ট ইজ লং। জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তার কর্ম চিরস্থায়ী। এই ক্ষনস্থায়ী জীবনকে ভোগে নয় বরং ত্যাগ এবং সেবায় নিয়োগ করে কেবলই অমরত্ব লাভ করা সম্ভব। আমি এই শ্বাশ্বত সত্যকে মনে প্রাণে বিশ্বাস এবং ধারণ করি। ব্যক্তি জীবনেও আমি ভোগ-বিলাসের বাহিরে। আমি কথায় নয়, কর্মে বিশ্বাসী। আমি প্রবাস জীবনে থেকে বারবার ফিরে এসেছি আপনাদের কাছে, মাঠির টানে, নাড়ির টানে। পাশে থেকেছি সাধারণ মানুষের। আমার সামর্থ অনুযায়ী ছোটে গিয়েছি অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে। সম্পূর্ণ মোহমুক্ত থেকে কাজ করেছি শেকড়ের টানে। আপনাদের প্রতি এই অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসা থাকবে আমার আমৃত্যু। মূলত আপনাদের কাছে বারবার যাওয়ার ফলে আমার একটি আত্মীয়তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আত্মায় আত্মায় মিশে যাওয়ার ফলেই নিজ থেকে সৃষ্টি হয়েছে একটি তাগিদ। সেই তাগিদ থেকেই মূলত নির্বাচনে আমার অংশ গ্রহণ। আর এ যাত্রায় আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসাই আমার সম্পদ, আমার পূঁজি, আমার সফলতার অবলম্বন। এই অবলম্বন আমি ধরে রাখতে চাই আমৃত্যু।

পার্ট-৩
সম্মানীত সিলেট-৩ আসনের ভোটারবৃন্দ
গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। বর্তমান জনবান্ধব সরকার তাই জনগণের জন্য এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার সরকার একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে অবহেলিত গ্রামীন জনপদ গুলোকেও সমৃদ্ধির শেখরে পৌছে দিয়েছে। তারপরও অস্বীকার করার উপায় নেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও উন্নয়ন বঞ্চিত জনপদের সংখ্যাও কম নয়। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। এরজন্য প্রয়োজন যোগ্য ব্যক্তি, যোগ্য মানুষ। মনে রাখা দরকার-এক্ষেত্রে সবাই সফল হয় না। কিছু মানুষের জন্ম হয় কাজের জন্য, কীর্তির জন্য। সেই কীর্তিমানদের মানুষ স্মরণ করে আমৃত্যু। আমি নেতা নই,আপনাদের প্রতিনিধি হতে চাই মাত্র। আপন কর্মে আপনাদের মনিকোঠায় স্থান করে নিতে চাই। তাই প্রয়োজন আপনাদের সহযোগীতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন। আমি আপনাদের দো’আ চাই, সমর্থন চাই। আমার বিশ্বাস,আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দল-মতের উর্দ্বে উঠে আপনাদের মহা-মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে রায় দিবেন।

প্রিয় ভোটারবৃন্দ,

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-৩ আসন। এই আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জুলাই। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮ শত ৭৩। ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। সকল ভোটার কিন্তু রাজনীতি করে না। আবার সবাই আওয়ামী লীগকেই সমর্থন করবে-এমনটিও নয়। তবে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সকলেই থাকবে অভিন্ন। উন্নয়ন অভিন্ন নীতিতে দলীয় সংকীর্ণতাকে পরিহার করেই সম্ভব প্রভুত উন্নয়ন। আপনাদের দো’আ ও ভালোবাসা পেলে নিজ আসনের উন্নয়নে এই নীতি অবলম্বন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।

ইতোমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেন হতে যাচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকা বালাগঞ্জ ও দক্ষিন সুরমার উপর দিয়ে এই মহাসড়কটি হচ্ছে। এই মহাসড়কের পাশে একটি ইপিজেড প্রতিষ্টা করলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমি শুরু থেকেই সদাশয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এখানে একটি ইপিজেড স্থাপন করতে চাই।

সিলেট-৩ আসনকে বলা হয় শিল্পাঞ্চল। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য এই শিল্পাঞ্চলে এখনও রয়েছে প্রচুর সমস্যা। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও উদ্যোগের অভাবে এই অঞ্চল এখনও অনেকটা পিছিয়ে। আর হঠাৎ করেই এই অঞ্চল যথার্থ অর্থেই সমৃদ্ধ জনপদ হয়ে উঠবে-এমনটি বলা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। এই আসনের তিন উপজেলার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমার যাওয়া হয়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে কথা বলেছি সাধারণ মানুষের সাথে। তাদের সমস্যাগুলো লিপিবদ্ধ করেছি নিজ ডায়েরিতে। কথা দিয়েছি সুযোগ পেলে সুষম বণ্ঠন নীতিতে সমস্যাগুলোর সমাধানে নিজেকে সচেষ্ট রাখবো। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা এবং আমার অঙ্গীকার তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

পার্ট-৪

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা

** দক্ষিণ সুরমার মানুষের দাবির প্রতি একাত্বতা পোষণ করে আমার দাবির প্রেক্ষিতে (নির্মাণাধীন) সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ সুরমার জন্য এক অনন্য অর্জন। এর ফলে পাল্টে যাবে দক্ষিণ সুরমার জীবন মান উন্নয়ন। বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শতকরা ৫০ ভাগ নিশ্চিত করা হবে।

** সুরমা নদীর উপর পৃথক স্থানে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। যার একটি হবে মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন অংশে এবং অপরটি ক্বীন ব্রিজের পাশে। (যার স্বপ্ন দেখেছিলেন সিলেটের কৃতি সন্তান প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।) যদিও এলাকাটি সিলেট-১ আসনের আওতাভুক্ত। এ ব্যাপারে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমি কথা বলেছি।

** আমি নির্বাচিত হলে ছয় মাসের ভিতরে লালাবাজারের ব্রিজটি সম্পন্ন করা হবে একই সাথে প্রবাসী ও সরকারি সহযোগীতায় আধুনিক নির্মাণ শৈলির পরিপূর্ণ রূপ পাবে লালাবাজার মসজিদ।

** কামালবাজার বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি উপজেলার বাসিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে।

** মোগলাবাজার ইউপির খালোমুখ বাজারে সেতু নির্মাণ।

** দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সুরমা নদীর তীরে দৃষ্টি নন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।

**দক্ষিন সুরমার ‘আব্দুস সামাদ আজাদ চত্বর (চন্ডিপুল)হতে রেলগেইট পর্যন্ত রাস্তার দু পাশে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মান করা হবে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা

** ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৫শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এখানে একটা ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

** পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। এই সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নতকরণে ফেঞ্চুগঞ্জে জুড়ি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।

** ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর তীরে ( ফেঞ্চুগঞ্জ অংশে) দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ।

** এশিয়ার বৃহত্তম হাওড় হাকালুকিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

** ফসল রক্ষায় হাকালুকিতে বেড়িবাঁঁধ নির্মাণ করা হবে ও হাওরদীঘির সৌন্দর্য্যবর্ধণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

** কটালপুর ব্রিজ (আমিরগঞ্জ হইতে উত্তরপাড়া) নির্মাণ।

** উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল থাকলেও রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামাধির অভাব। স্টাফ,নার্স এবং চিকিৎসক সঙ্কটও বিরাজ করছে সব সময়। এই অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে পর্যায়ক্রমে।

** পৌরসভায় উন্নীত হলে ফেঞ্চুগঞ্জ হবে আরো সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী। এ ব্যপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।

** উপজেলার মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ।

বালাগঞ্জ উপজেলা

** বালাগঞ্জ একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। বালাগঞ্জে একটি কৃষি শিল্প গড়ে তুলতে চাই এবং বালাগঞ্জে একটি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

** বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের রাজস্ব আদায়ে বড় কোন মাধ্যম না থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন বঞ্চিত বালাগঞ্জ। তাই এই উপজেলায় রাজস্ব বাড়াতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। যেমন পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপন।

** বালাগঞ্জে বড়ভাগা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ।

** দেওয়ানবাজার-সুলতানপুর-খন্দকারবাজার রাস্তায় উজান বড়ভাঙ্গা সেতু নির্মাণ করার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজতর করে তোলা হবে।

** বালাগঞ্জ সদরে কুশিয়ারা নদীর উপর দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মান যার সাথে মৌলভীবাজার রাজনগরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন আরো সহজতর হবে।

** বাজার সদরে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বালাগঞ্জ বাজার সংস্কার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।

** পূর্ব-পৈলনপুর ইউনিয়নের সাথে বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে যোগাযোগ নিশ্চিত করনে জরুরী ভিত্তিতে কুশিয়ারা ডাইকের বন্ধ হওয়া কাজ চালু করণে উদ্যোগ গ্রহণ।

** বালাগঞ্জ সদরে একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।

** বালাগঞ্জের প্রাচীন ঐতিহ্য নদী বন্দর পুনঃ স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

** প্রবাসী অধ্যুষিত বালাগঞ্জে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন যাতে স্বদেশে ও বিদেশে কর্ম সংস্থান হয়।

** কুশিয়ারা নদীতে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাণিজ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান।

** ভৌগোলিক অবস্থান বিচারে বালাগঞ্জের হাওর, কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহন।

** বালাগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স কোর্স চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ করা হবে।

** বালাগঞ্জের বড়ভাগা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ।

** আজিজপুর-বাংলাবাজার-আতাসন রাস্তা পাকাকরণ ও টলাখালির উপর ব্রিজ নির্মাণ।

পার্ট-৫

বিশেষ নোট

** যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখী করার লক্ষে তিন উপজেলায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।

** নারী শিক্ষার প্রসারে প্রতি উপজেলায় একটি করে উন্নত মানের বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

** প্রতি উপজেলায় বয়স্কদের জন্য পার্ক স্থাপন করা হবে।

** আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের কর্ণধার। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে শুরু থেকেই নিরবিচ্ছন্ন পরিচর্যা নিশ্চিত করণে বিনোদন ব্যবস্থাও রাখা সময়োপযোগী। এই জন্য প্রতি উপজেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ পার্ক স্থাপন করা হবে।

** তিন উপজেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজের নির্ধারিত খেলার মাঠ নেই। গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (যেখানে নেই) খেলার মাঠের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

** সংস্কৃতির স্পর্শে মানুষ হয় অসাম্প্রদায়িক। মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হলে বন্ধ হয় হানাহানি। তাই তিনটি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

** যুবকরা সমাজের শক্তি। এর জন্য চাই আলোকিত যুব সমাজ। যুব সমাজ জেগে না উঠলে মাদকের ভয়াবহ ছোবল আক্রান্ত করবে সবাইকে। ফলে যুব সমাজ রক্ষায় বই পড়া আন্দোলন বেগবান করতে হবে। প্রতি ইউনিয়নে সম্ভব না হলেও উপজেলায় একটি করে পাবলিক লাইব্রেরি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।

** প্রতি উপজেলায় একটি করে উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ নির্মাণ করা হবে।

** কারীগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সময়োপযোগী। তাই গুরুত্ব দিয়ে তিন উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কৃষি খাতের উন্নয়নে সিলেট-৩ আসনের আওতাধীন বিভিন্ন খাল ও নদী খনন করে সেচ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

** উপজেলার প্রতিটি বাজারে বাজার ভিত্তিক ছাউনি নির্মাণ করা হলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিন উপজেলার বাজারগুলোতে পর্যায়ক্রমে ছাউনি নির্মাণ করা হবে।

** উন্নয়নের পূর্ব শর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তিন উপজেলায় কিছু রাস্তাঘাট এখনও রয়েছে অসমাপ্ত। নির্বাচন পরবর্তী অসমাপ্ত রাস্তাঘাট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে।

** কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ভাঙ্গণ রোধে বিশেষ করে বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ও পশ্চিম গৌরীপুর বালাগঞ্জ সদর, দক্ষিন সুরমার কুচাই ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ মাউজগাও, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের নদী তীর সুরক্ষা কল্পে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

** সরকার থেকে উন্নয়ন বরাদ্ধের ক্ষেত্রে সুষম নীতির মাধ্যমে তিন উপজেলার উন্নয়ন সাধন।

** তিন উপজেলায় মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম চলবে পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সার্বজনীন শ্মশান নির্মাণ করা হবে।

** শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতি উপজেলায় সময়োপযোগী বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ।

** পর্যায়ক্রমে তিন উপজেলার প্রয়োজনীয় স্কুল কলেজ গুলোতে একাডেমিক ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

পার্ট-৬

সিলেট-৩ আসনের সম্মানীত জনগণ
আমি আগেও বলেছি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। বিগত দিনেও এই আসনের মানুষের পাশে ছিলাম আমি। আমি কথা দিচ্ছি, নান্দনিক সিলেট-৩ আসন গড়ে তোলার লক্ষেই পরিচালিত হবে আমার সকল কার্যক্রম। আমার রাজনীতি হবে কল্যাণের। আমার রাজনীতি হবে সম্প্রীতির। আমার রাজনীতি হবে মানুষের জীবন মান উন্নয়নের।

তাই সকলের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আগামী ২৮ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে নৌকা মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে বিজয়ী করে আপনাদের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন। আমি দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্জুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ এলাকাকে নান্দনিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলতে চাই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সহায় হোন।

খোদা হাফেজ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

ধন্যবাদান্তে-
হাবিবুর রহমান হাবিব
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী
সিলেট-৩