আজ বিশ্ব বাবা দিবস। বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বেই পালিত হবে দিনটি। প্রতিটি মানুষের জীবনে তাদের মা-বাবাই সবচেয়ে আপনজন। তাদের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। মায়ের সঙ্গেই সন্তানদের সম্পর্ক গভীর হয়। উপমহাদেশে দেখা যায়, বাবার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব থাকে সন্তনাদের। কিন্তু তাই বলে বাবার ভালোবাসা কম নয়। তিনি তার সারাটি জীবন ব্যয় করেন সন্তানদের পেছনে, পরিবারের পেছনে। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই আজ দেশে দেশে পালিত হবে দিনটি। জুন মাসের তৃতীয় রবিবার প্রতি বছর বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হয় বাবা দিবস। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে থাকে।
বাবা দিবসের কথা হয়তো বাবাদের খেয়ালই নেই। আর তাই একটা উপহার দিয়ে কিভাবে বাবাকে চমকে দেওয়া যায় সেটা জানা যাক এবার-
দরকারি উপহার হতে পারে একটি বিয়ার্ড ট্রিমার। মহামারিতে অনেকেই সেলুনে যেতে চায় না বা যাওয়াটাও উচিৎ হবে না। আর তাই বাবাকে একটি দাড়ি ট্রিমার উপহার দিতে পারেন এবার।
বাজারে এখন বেশ কিছু ফিটনেস স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ড পাওয়া যায়। সেগুলো হৃদস্পন্দন মাপা সহ বিভিন্ন এক্সারসাইজে সহায়ক। এক্ষেত্রে স্মার্টওয়াচও কাজে আসতে পারে।
বাবার ঘরের জন্য একটা বেডসাইড ল্যাম্প হলে কেমন হয়? আর সেই ল্যাম্পের আলোয় পড়ার জন্য কিছু বইও থাকতে পারে উপহারের বাকশে।
এই গরমে বাবাকে একটি পোর্টেবল ফ্যানও উপহার দিতে পারেন। বাজারে এমন কিছু ফ্যান পাওয়া যায় যেগুলো রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চলে ও একনাগাড়ে ১০ ঘণ্টাও চলে।
বাবা যদি পারফিউম পছন্দ করেন, তবে ভালো ব্র্যান্ডের একটি পারফিউমও দিতে পারেন।
বাবার জন্য নিতে পারেন নতুন শার্ট, পাঞ্জাবী-টুপি, নামাজে জায়নামাজ, ফতুয়া, জুতো ইত্যাদি।
বাড়িতে করতে পারেন বাবার পছন্দের খাবার রান্না। এছাড়াও তার পছন্দের জায়গায় নিয়ে ঘুরতেও যেতে পারেন।
গিফট কার্ডে যা লিখতে পারেন
যত যাই থাকুক, একটা বর্ণিল গিফট কার্ড তো থাকা চাই। এ ক্ষেত্রে নিজের হাজে বানানো কার্ডও দিতে পারেন। সঙ্গে গোটা অক্ষরে লিখে দিতে পারেন একটা কিংবা অনেকগুলো বার্তা। কার্ডে কী লিখবেন? হতে পারে এমন সব কথা-
- বাবা, তুমিই সেরা।
- বাবা, তুমি আমার সুপারহিরো।
- আমাকে মাথায় তুলে রাখার জন্য বাবা তোমাকে ধন্যবাদ।
- তুমি আশেপাশে থাকলেই নিজেকে নিরাপদ মনে হয়।
- আমার জন্য যেভাবে ঘাম ঝরাচ্ছো, তার জন্য গর্ব করি।
- শেষ পর্যন্ত তোমার কথাই ঠিক হয়।
- বাবা, চেষ্টা করে যাচ্ছি তুমি যেন আমাকে নিয়ে গর্ব করতে পারো।
বর্তমান করোনাকালে অনেক বাবা ভালো নেই। অনেক বাবা কাজ হারিয়েছেন, অনেকের উপার্জন কমে গেছে। এরপরও সব কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে আগলে রাখছেন বাবা। সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাবার সেই কষ্টের প্রতি সন্তানরা আজ শ্রদ্ধা জানাবে।