নায়িকা হতে গিয়ে অনেকের শয্যা সঙ্গী অপরূপা – News Portal 24
ঢাকাTuesday , ২৯ জুন ২০২১

নায়িকা হতে গিয়ে অনেকের শয্যা সঙ্গী অপরূপা

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুন ২৯, ২০২১ ১:০০ অপরাহ্ন
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হবেন। নায়িকা হতে গিয়ে তাকে সর্বস্ব দিতে হবে, এমনটি ভাবেননি মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণী অপরূপা (ছদ্মনাম)। ড্যান্স বা’রে পারফর্ম করে সবাই মিলে যখন আড্ডা দিচ্ছেন তখনই ঘটে ঘটনাটি। আড্ডায় মগ্ন সবাই।

বার সংলগ্ন হোটেল কক্ষের সোফায়, খাটে বসেছেন তিন তরুণী ও পাঁচ যুবক। এরমধ্যে অনুষ্ঠান আয়োজক ফরহাদ খানও রয়েছেন। টেবিলে সাজানো বি’য়ার, হু’ইস্কি, শ্যা’ম্পাইন। রয়েছে ফ্রাইড চিকেন, সালাত, চিপস ইত্যাদি।

কেউ ম’দ পান করছেন। কেউ সিগারেটে সুখ টান দিচ্ছেন। তমা নিরবে বসে আছেন। বারবার অনুরোধ করার পর বিয়ার হাতে নেন। কিন্তু বাধা দেন ফরহাদ। বি’য়ার নয়, তাকে হু’ইস্কির গ্লাস এগিয়ে দেন। তমা পান করেন।

এক-দুই করে কয়েক প্যাক। পান করতে করতে চোখ টলমল করছে। সোফায় ঢলে পড়বেন যেনো। অভিজিৎ তাকে কাছে টেনে নেন। সবার সামনেই পাশে বসিয়ে জড়িয়ে ধরেন। অন্যরা এই দৃশ্য দেখে বেশ মজা নিচ্ছিলো।

তারপর তাকে কোলে তোলে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যান। মুহূর্তেই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ভোর হতেই ঘুম ভাঙ্গে তমার। হতভম্ব হয়ে যান। কম্বলের নিচে বস্ত্রহীন তিনি। বুঝতে পারেন সর্বস্ব লুট হয়েছে তার। যেনো নিজের অজান্তেই ঘটেছে সবকিছু। নিঃশব্দে কাঁদছিলেন অপরূপা। পাশে তখনও ঘুমাচ্ছেন অভিজিৎ। চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি, পঞ্চাশ বছর বয়সী অভিজিৎ। দীর্ঘদিন থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এখানে ব্যবসা রয়েছে তার। এছাড়া ব্যবসা রয়েছে মালয়েশিয়াতেও। হোটেল, বারের ব্যবসা।

নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে নিয়েই নাচ শিখেছেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী অপরূপা। স্বপ্ন ছিলো নায়িকা হলে সারা দেশের মানুষ তাকে চিনবে। তাকে দেখলেই ভীড় করবে দর্শকরা। ছবি তোলবে। তাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্রকাশ হবে গণমাধ্যমে। পাশাপাশি অর্থ উপার্জনও হবে।

সেই স্বপ্ন নিয়েই নারায়ণগঞ্জের একটি নাচের স্কুলে ভর্তি হন। অল্প দিনেই নাচে পারদর্শী হয়ে উঠেন কলেজ পড়ুয়া এই ছাত্রী। এরমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন আসতে থাকে। পরিচয় ঘটে শোবিজ জগতের তারকাদের সঙ্গে।

পারফর্ম করেন দেশের বিভিন্নস্থানে। এরমধ্যেই নারায়ণ নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়। বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করার প্রস্তাব দেন তিনি। অভিজিৎ তার বড় ভাই হন। প্রতি মাসে বেতন হবে ৭০ হাজার টাকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তমা। বাবা ক্ষুদে ব্যবসা। দুই বোন, এক ভাই ও মা-বাবা নিয়ে তাদের পরিবার। অভাব লেগেই থাকে। মাসে এতগুলো টাকা পেলে মন্দ হয় না। ভেবেই রাজি হন।

বিদেশে যাওয়ার আগেই তাকে দেওয়া হয়েছিলো ৫০ হাজার টাকা। তারপরই তমাসহ একসঙ্গে আরও চার তরুণী দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। এটি কয়েক বছর আগের ঘটনা।

২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের পেশাজীবীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ। পর্যটক ভিসা পাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু এই চক্রের ভিসা পাওয়ার বিষয়ে তেমন প্রতিবন্ধকতা নেই। তিন মাসের পর্যটক ভিসা নিয়ে আরব আমিরাতে যান তারা। শারজায় একটি বারে নাচ করেন তমা। তারপরই ঘটে ঘটনাটি।

অনেক কিছু ভেবে অভিজিৎকে মেন নেন অপরূপা। একজন পুরুষ সঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি তার জন্য আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। পরের রাতে এক আরবিয়ানের বাসায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তমাকে।

আরব ওই ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী নারায়ণসহ সেখানে ছিলো আরও দু’জন। বাসাতেই ছিলো নাচের আয়োজন। নাচ শেষে রাত গভীর। তখনই অভিজিৎ বুঝিয়ে দেন আজ রাতটা সবার সঙ্গেই কাটাতে হবে তাকে। অপরূপা অনুনয় করেন। অভিজিৎ ছাড়া কারও শয্যাসঙ্গী হতে চান না তিনি। অভিজিৎ জানান, শুধু নাচ করে থাকা-খাওয়ার টাকাও আসবে না। এসবই করতে হবে তাকে।

আরব আমিরাতের বারে ঢুকতে গেলে ৫০ দিরহাম দিয়ে একটি টোকেন ক্রয় করতে হয়। নাচ দেখতে হলে পছন্দের তরুণীকে এই টোকেন দিতে হয়।

এই টোকেন তরুণী হয়ে জমা হয় বার কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন তরুণী ক’টা টোকেন জমা দিলো তা লিখে রাখা হয়। মাসে অন্তত তিন শ’ টোকেন সংগ্রহ হলে টোকেন সংগ্রহকারী তরুণীর বেতন হয় ৫০ হাজার টাকা। টোকেন কম হলে বেতন কমে যায়।

এক পর্যায়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই নিরবে ওই রাতে শয্যা সঙ্গী হন একে একে চার জনের। তারপর থেকেই প্রায় প্রতি রাতেই কারও না কারও সঙ্গী হন তমা।

অপরূপা জানান, ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশ চার জনকে একটি নাইটক্লাব থেকে আটক করেছিলো তাদের বয়স কম ছিলো। ওই ক্লাবে নিয়মিত নাচ করতেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন ক্লাবে নাচ করেছেন তিনি। তিন মাস পর দেশে ফিরেন, আবার যান। তমা বলেন, মূলত টাকা উপার্জনের জন্যই ছুটে যান সেখানে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত দেশে রয়েছেন তিনি।