ডেস্ক রিপোর্ট:: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক কিশোরীকে রক্ত দিলেন নওগাঁর পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রক্ত দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ওই কিশোরীর নাম তাজনুর (১৭)। জন্মের কয়েক বছর পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।’
চিকিৎসা করানোর পর জানানো হয় থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। চার বছর বয়স থেকেই তাজনুরের শরীরে এ পজিটিভ রক্ত দেয়া শুরু হয়।
তাজনুরের বড় ভাই মোহাম্মদ আলীও (২১) একই রোগে আক্রান্ত। তাদের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার শিশুগ্রামে। তাজনুরের বাবার নাম গোলাম মোস্তফা।
তাজনুরের পরিবার জানায়, ‘২ ভাই-বোনের জন্য প্রতি মাসে ৩-৪ ব্যাগ রক্ত লাগে। নিয়মিত রক্তদাতা পাওয়া তাদের জন্য দুষ্কর। এজন্য তারা পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মিজান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ২ ভাই-বোনের জন্য তিনিই রক্ত সংগ্রহ করে দিতেন।’
গত কয়েকদিন থেকে তাজনুরের জন্য রক্ত সংগ্রহের খোঁজ করা হচ্ছিল। তবে কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। এসময় পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম শাহর কথা মনে পড়ে মিজানের।
তিনি বৃহস্পতিবার থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক কিশোরীর (এ পজিটিভ) রক্তের প্রয়োজনের কথা জানালে ওসি স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আগ্রহী হন। পরে দুপুরে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিজানের চেম্বারে ওসি রক্তদান করেন।
রক্ত সংগ্রহ করে দেয়া মিজান বলেন, ‘গোলাম মোস্তফার দুই সন্তানকে প্রতিমাসে ৩-৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। প্রতিব্যাগ রক্তে ৫০০-৬০০ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। দুই সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে গোলাম মোস্তফার পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে।’
পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম শাহ বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কিশোরীর জন্য রক্ত খুঁজছিলেন মিজান। তার মাধ্যমে জানার পর আমি নিজেই রক্ত দিতে আগ্রহী হয়। কারণ, আমার রক্তও (এ পজিটিভ)।’
এর আগে বিভিন্ন কর্মস্থলে ৭-৮ বার রক্ত দিয়েছেন বলেও জানান ওসি।
সূত্র: জাগো নিউজ