অনলাইন ডেস্ক:: আমি বিবাহিত। আমার একটি কন্যাসন্তানও আছে। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আমি ওই ছাত্রের সঙ্গে ভুল করেছি। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে পুলিশের কাছে এভাবেই কথাগুলো বলেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক স্কুলছাত্রকে (১৩) বলাৎকারের চেষ্টায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক শাহাদাত হোসেন।
তিনি উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও রামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
ঘটনাসূত্রে পুলিশ জানায়, ‘শনিবার সকালে বলাৎকারের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রের মা। পরে মাদরাসা থেকে শিক্ষক শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মাদরাসার হিসাব রক্ষক রুবেল ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা জানান, ‘জানুয়ারি মাসে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। গত এক মাস ধরে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে ওই ছাত্রকে মাথা ও শরীর মালিশ করার কথা বলে শাহাদাত কৌশলে ডেকে নিয়ে যেতেন। তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করতেন। এসব ঘটনা কাউকে না বলতে ছাত্রকে শপথও করানো হয়।’
তারা আরো জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রকে মাদরাসার তিন তলার কক্ষে নিয়ে আবারও বলাৎকারের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে সব জানায়। ঘটনাটির বিচার দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিকালে ছাত্রের মা মাদরাসার পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেন। তাৎক্ষণিক মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করে ছাত্রের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ ঘটনা কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।’
রায়পুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু নাসের বাবু বলেন, ‘বছরের শুরুতেও মাদরাসায় এ ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছে ওই শিক্ষক। আরেক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে জখম করার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল। এমন ঘটনায় তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘ছাত্রের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ সূত্র: জাগো নিউজ ২৪