সাড়ে ৬ কোটির বেশি কোরআনের হাফেজ রয়েছেন বিশ্বে – News Portal 24
ঢাকাFriday , ৭ মে ২০২১

সাড়ে ৬ কোটির বেশি কোরআনের হাফেজ রয়েছেন বিশ্বে

নিউজ পোর্টাল ২৪
মে ৭, ২০২১ ৭:১৪ অপরাহ্ন
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়।

কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হাফেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে, একটি জরিপ সংস্থা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘এটা একটি মতামতভিত্তিক জরিপ। জরিপের ফলাফল প্রকাশের সময় সংস্থাটি আরও জানিয়েছে। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এমন মানুষ আছেন, যারা কোরআন মুখস্থ করেছেন, কিন্তু প্রকাশ করেননি। ৪-৫ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে, নারী, যুবক, অন্ধ এমনকি বৃদ্ধরাও ত্রিশপারার বিশাল কিতাব পুরোপুরি মুখস্থ করেছেন, অনেক অমুসলিমও কোরআন মুখস্থ করেছেন।’

কোরআন ব্যতীত এমন নজির আর আছে কি? এটা আল্লাহর কালাম কোরআনের অলৌকিকতা আর কী হতে পারে? পৃথিবীর সমস্ত ছাপা কোরআন, রেকর্ড, ক্যাসেট, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি ধ্বংস করে ফেললেও এর কপি হাফেজদের কাছ থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। অন্যকোনো গ্রন্থের এমনটি অসম্ভব। কারণ মানবপ্রণীত কোনো গ্রন্থ হুবহু কারও মুখস্থ নেই।

প্রায় ১৪ শত বছর আগের তুলির সাহায্যে লেখা আর বর্তমান কম্পিউটার যুগের কোরআনের মধ্যে বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। এমন উদাহরণ আর কী আছে? নিশ্চয়ই নেই।

এর কারণ হচ্ছে, কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এর সংরক্ষক আল্লাহতায়ালা স্বয়ং। পবিত্র কোরআনের মতো এমন অলৌকিক নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

আর এ জন্যই পবিত্র আল্লাহতায়ালা কোরআনের শুরুতে মানবজাতিকে সচকিত করে ঘোষণা করেন,
এটি এমন এক কিতাব (বিধান), যার মধ্যে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। -সূরা বাকারা: ২য় আয়াতের ১ম অংশ।

অনেকে মনে করেন, কোরআন কেবল মুসলিমদের জন্য। কোনো কোনো মুসলিমেরও এমন ধারণা রয়েছে, তা ঠিক নয়। কোরআন সবমানুষের জন্য নাজিল হয়েছে। পৃথিবীর আলো-বাতাস, খাদ্য-পানীয়তে যেমন সমান অধিকার, তেমনই পবিত্র কোরআন আল্লাহর তরফ থেকে একটি বিশেষ রহমত ও নিয়ামত। এ কিতাব কোনো জাতির একক সম্পদ নয়। সূর্যের আলো যেমন সবার জন্য উন্মুক্ত, তেমনই কোরআনের জ্ঞান অর্জনসহ এ থেকে সবমানুষই ফায়দা নিতে পারেন।

যারা এ চিরশাশ্বত নিয়ামত থেকে বঞ্চিত তারা সত্যিকার অর্থেই হতভাগ্য। হঠকারিতা নয়, বিদ্বেষে অন্ধ হয়ে নয়, কোনো ভাবাদর্শে আপ্লুত কিংবা আবেগতাড়িত হয়ে নয়, গভীর আন্তরিকতা ও ঔদার্য নিয়ে এসব কথা ভাবুন। তাহলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোজগতের দুয়ার খুলে যাবে সহসা।

বৃটিশ সংস্থা ‘ফেইথ ম্যাটার্স’র গবেষণা জরিপে উল্লেখ করা হয় যে, ‘সম্প্রতি শুধু বৃটেনে ১০ বছরে ৪০ হাজারের অধিক তরুণ-তরুণী পবিত্র কালেমা পড়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ইসলাম গ্রহণের পেছনে কোরআন বিশাল ভূমিকা রেখেছে।’

আসলে কোরআনই পারে মানুষের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোজগতের দুয়ার খুলতে। যখন কেউ পবিত্র কালেমার প্রকৃত তাৎপর্য ও মর্মার্থ মনেপ্রাণে উপলব্ধি করতে পারেন, তখন তার জীবন বিপন্ন হলেও তা আঁকড়ে থাকেন। মৃত্যুর ভয়ও তার থাকে না।

কালেমার দাবির কাছে মানুষের জীবন অতি তুচ্ছ এবং নগণ্য প্রতিপন্ন হয়। এটাও কিন্তু কোরআনে কারিমের অলৌকিক শক্তি। আর হাফেজে কোরআন কিংবা সাধারণ মুসলমান হিসেবে যারা কোরআন মুখস্থ ও তেলাওয়াত করেন- তারাও হৃদয়ের গভীরে এক প্রশান্তি অনুভব করেন। এই প্রশান্তির অনুভূতি বলে কিংবা লিখে বুঝানো সম্ভব নয়। এটাও কোরআনের আরেক অলৌকিকত্ব ও বরকত।