ঢাকাSunday , ৯ মে ২০২১

সারাদেশ বিজিবি মোতায়েনেও আটকানো গেল না মানুষের ঢল, নৌ-দুর্ঘটনার শঙ্কা!

নিউজ পোর্টাল ২৪
মে ৯, ২০২১ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক:: মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে রোববার সকাল থেকেই বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। একইসঙ্গে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

তবে তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গগামী হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরও বাড়ছে। যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে।

বিআইডব্লিউটিসি শনিবার রাতভর ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করলেও রোববার ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

তবে ৮টি অ্যাম্বুলেন্সসহ সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফেরি ফরিদপুর ১নং ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ফেরিটিতে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভরে যায় ফেরিটি। লোকজনের চাপে ফেরিটির ঢালা উঠানো যাচ্ছিল না।

এ সময় পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে ফেরির ঢালা উঠানোর কোনোরকম ব্যবস্থা করে। কিন্তু গাদাগাদি করে ছোট্ট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ উঠে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আছে। সবখানেই গাদাগাদি ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। এ ছাড়া ফেরিঘাটের আশপাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করছে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ৮টি ট্রলার আটক করেছে।’

এদিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিসেবার কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মতো উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন গ্রামে ছুটছেন, কোনো বাধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিষেবায় ২-৩টি চলাচল করছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, এভাবে চলতে থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা সহস্রাধিক যাত্রীবাহী ফেরিতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা।

বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে ৫৩৫টি বড় নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এতে ছয় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে হিসাব জানিয়েছে, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’।

আরও পড়ুনঃ  ফুলবাড়ীতে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখো না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে, তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও কাজ করছে।’