ডেস্ক রিপোর্ট:: বাড়ি যাওয়ার পথে পদ্মা নদীর চরে সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। রোববার (৯ মে) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকায় মেয়ে শিশুর জন্ম দেন তিনি।
পরিবার নিয়ে ঢাকার লালবাগে থাকেন ওই দম্পত্তি। গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলিতে যাবেন ঈদ করতে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ, পদ্মা পাড়ি দেওয়ার নৌযানও বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে একটি ট্রলারে করে এসে ওই স্থানে পৌঁছে সেখান থেকেই হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন
তারা।
বর্তমানে মা ও নবজাতক জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তারা সুস্থ আছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ওই দম্পত্তিদের নাম
সুমা আক্তার ও নাহিদ হোসেন। তারা ঢাকা লালবাগে থাকেন। তাদের বাড়ি বরিশাল হিজলাতে। তারা আজ ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে বরিশালে যাচ্ছিলেন। করোনার কারণে এখন লকডাউন চলছে। এজন্য লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ থাকায় ওই দম্পতি মাওয়া থেকে মাঝিরঘাট আসবেন বলে একটি ট্রলার ভাড়া করেন। কিন্তু ট্রলার চালক ওই দম্পতিকে পদ্মার নদীর চর পাইনপাড়া এলাকায় নামিয়ে দেন। চালক তাদের বলেন, এক কিলোমিটার হেটে গেলেই মাঝির ঘাট পৌঁছে যাবেন। কিন্তু পথ ছিল চার কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, ওই দম্পতি ট্রলার থেকে নেমে হাঁটছিলেন। পথিমধ্যে প্রসব বেদনা উঠলে ওই চরে স্থানীয় নারীদের সহযোগিতায় সুমা এক ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ওই মা ও নবজাতককে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করি। মা ও নবজাতক দুজনই ভালো আছেন। তাদের যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে কিছুটা সমস্যা থাকায় দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ আছে। দু’জনকেই সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা আমার তত্ত্বাবধানে আছে। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান ওই মা ও নবজাতকের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া খুশী হয়ে মেয়েটির নাম দিয়েছে ‘পদ্মা’।