নিউজ পোর্টাল ২৪ ডেস্ক:: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেকে মারধর করে চেয়ারম্যানের পায়ে ফেলে ফেসবুকে লাইভ করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ‘চেয়ারম্যান চেয়ারে বসা। ধাক্কা দিয়ে শিক্ষক ও তার ছেলেকে চেয়ারম্যানের পায়ে ফেলা হয়। আর এই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ দিয়ে একজন ধারা বিবরণী দিচ্ছেন।’
গত ২৬ এপ্রিল স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শিক্ষক, শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। এক মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর প্রতিবাদ শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মিয়াজি জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। শিক্ষক মিয়া মো. আল মামুন জয়াগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পর্কে চেয়ারম্যানের চাচা।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ‘চেয়ারম্যানের বাড়ির ছাদে পঞ্চায়েত কমিটির সামনে ভীত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন ওই শিক্ষক ও তার ছেলে শিবলু। এসময় বক্তব্য দিচ্ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড নাঙ্গলকোট উপজেলার সভাপতি, কাশিপুর নেছারিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও ডেমু ট্রেনের গার্ড ওমর ফারুক লিটন। বক্তব্যে তিনি ওই শিক্ষককে হাতজোড় করে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।’
ক্ষমা চাইতে গেলে তেড়ে আসেন ওমর ফারুক লিটন। এসময় শিক্ষক মামুন ও তার ছেলের পিঠে কনুই দিয়ে আঘাত করে চেয়ারম্যানের পায়ের নিচে ফেলেন তিনি। শিক্ষক অঝোরে চেয়ারম্যানের পা ধরে কান্না করছেন। আর বলছেন, আমার ভুল হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে এবং মেসেজ দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত ওসমান বলেন, আমি খবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘কিছুদিন পূর্বে নাঙ্গলকোটের জোড্ডা গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জড়িত আছেন বলে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার।’
পাল্টা বক্তব্যে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই শিবলু একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা বলে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় চেয়ারম্যান শিবলুর গালে চড় মারেন। এতে শিক্ষক মামুন প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান অসন্তুষ্ট হন। এর জেরে ওই প্রধান শিক্ষকের জমির মাটি কেটে নেন চেয়ারম্যান।
এটা পুলিশকে জানান প্রধান শিক্ষক মামুন। যার প্রতিবাদেই পঞ্চায়েত সভার আয়োজন করেন চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা।