ডেস্ক রিপোর্ট:: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় জমির পানি নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার পর হামলায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে রেশমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ৯টায় উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের মীরাকান্দি জামে মসজিদে জানাজা শেষে কাশিপুর গণকবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত রেশমা আক্তার মীরাকান্দি গ্রামের আমীন ব্যাপারীর স্ত্রী। তার আমেনা আক্তার নামের একবছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
পরিবার জানায়, ‘উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের মীরাকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক ব্যাপারী (৫৩) বোরোধানের জমিতে পানি দেয়ার জন্য ওই গ্রামের একটি পুকুরে পানি জমান। কিন্ত গত ২১ এপ্রিল দুপুরে একই গ্রামের জলিল ব্যাপারী (৫৫) জোরপূর্বক সে পানি মেশিনের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিবাদ করলে জলিল ব্যাপারীর লোকজন তাকে মারধর করেন।’
এরপর ২২ এপ্রিল বিকেল ৪টায় এ ঘটনায় সালিশ বসে। কিন্তু এতেও মীমাংসা না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল ব্যাপারীর নেতৃত্বে সৃষ্টি মাদবর, তামিম মাদবর, সুজন ব্যাপারী, ফারুক ফরাজী , শাহীন ব্যাপারীসহ ১০-১২ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল খালেক ব্যাপারীর বাড়িতে হামলা চালান। ‘
হামলা করে আব্দুল খালেকের ছেলের বউ রেশমা আক্তার (২১), ছেলে আমিন ব্যাপারী (২৫), স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (৪৫), বেয়াইন ইয়ারুননেছা বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন।
এছাড়া এসময় লুট করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
পরে স্থানীয়রা তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত রেশমা ও আমিনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল আব্দুল খালেকের বেয়াই মো. হাতেম খাঁ বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার পর আসামি সৃষ্ট মাদবরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার এক মাস ছয়দিন পর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমার মৃত্যু হয়।
নিহত রেশমার বাবা মো. হাতেম খাঁ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে মাথায় কোপ দেয় জলিল ব্যাপারীর লোকজন। বুধবার মেয়ে মারা গেছে। ‘তার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি সৃষ্টকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু বর্তমানে রেশমার মৃত্যু হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে।’ সূত্র: জাগো নিউজ ২৪ ডটকম