ডেস্ক রিপোর্ট:: রমজানের দিনগুলোয় ছিল তীব্র গরম। দিনও ছিল দীর্ঘ। তার মধ্যেই রোজা রেখেছেন মুসল্লিরা। দীর্ঘসময়ের ত্যাগ-সংযম শেষে আগামী বৃহস্পতি (১৩ মে) বা শুক্রবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এদিকে রাজধানীসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে গত রাত থেকেই মঝে মাঝে বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামি ২/৩ দিন এই পরিস্থিতি থাকতে পারে।
তাই এবারের ঈদটা মোটামুটি বৃষ্টির মধ্য দিয়েই যেতে পারে বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলনামুলক কম।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় কিশোরাগঞ্জের নিকলীতে, ৩৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
রংপুর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে, ৬৬ মিলিমিটার। সারা দেশের জেলাগুলোর মধ্যে এই বৃষ্টিপাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রাজশাহীর বদলগাছীতে বৃষ্টি হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৩৯ মিলিমিটার।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর ঈদে বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানিয়েছে, ‘ঈদের দিনও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বা শুক্রবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হতে পারে যা নির্ভর করছে চাঁদ উঠার ওপরে।’
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ‘বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার দেশে ঈদুল ফিতর হতে পারে। দেশে এখন যা বৃষ্টিপাত আছে, ওই সময় আরও একটু বাড়তে পারে। ১৫ মে’র পর থেকে দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।’
তিনি আরও জানান, ‘দেশে বিছিন্নভাবে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা একটু বাড়তি আছে। এটাকে তাপদাহ বলছি না, মানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ঈদের দিনও এ রকমই থাকতে পারে। মানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে ঈদের দিন।’