নিউজ পোর্টাল ২৪ ডেস্ক:: করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ধাপে ছুটি বাড়িয়ে স্কুল খোলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩শে মে। কিন্তু সংক্রমণের হার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ২৩মে আদৌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কিনা-তা নিয়ে সংশয়ে আছে খোদ বোর্ড কর্তারাই।
দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে সারাদেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ২৩ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী। কবে নাগাদ স্কুল খোলা হবে, কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে- এসব নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সম্প্রতি শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেদিনই খোলা হোক না কেন, সেদিন থেকেই ৬০ কর্মদিবস ক্লাস করিয়েই নেয়া হবে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। যদি ২৩মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়, তাহলে ওই দিন থেকে ৬০কর্মদিবস অর্থ্যাৎ ৩০শে জুলাই পর্যন্ত ক্লাস হবে। এরপরে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা।’
এই লক্ষ্যপূরণে ইতিমধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র ছাপাসহ অন্যান্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ড। যারা লকডাউনের কারণে ফরম পূরণ করতে পারেনি-তাদের জন্য লকডাউন শেষ হলেই ফরম পূরণের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ শিক্ষা পরিবশেকে বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ছাপাসহ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
কবে নাগাদ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, স্কুল খুলে দেয়ার পর প্রথমে ৬০ কর্মদিবস ক্লাস করানো হবে এবং এরপর আরও ১৫দিন সময় দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। সেদিক থেকে হিসাব করলে দেখা যায়, আমরা আগামী আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা নিতে পারবো। আর পরীক্ষা শুরুর অন্তত দেড় মাস আগে রুটিন প্রকাশ করা হবে।
তবে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র সদস্য অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী তিন মাসের আগে হয়তো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে না। সেক্ষেত্রে তিনি বছরের শেষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আগস্টকে ঘিরেই শিক্ষা বোর্ডগুলো নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ি কাজ করছে। তবে করোনা পরিস্থিতি যদি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে না আসে-সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে কি গতবারের মতো শিক্ষার্থীদের কি এবারো অটোপাশ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ক’দিন আগেই শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, আর কখনই অটোপাশ দেয়া হবে না। তবে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কিনা-এ বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় ঠিক করবে বিকল্প পদ্ধতিতে আদৌ পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা।